রমজানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বৃষ্টিই ভরসা
আসন্ন রমজানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় বৃষ্টিই প্রধান ভরসা। বৃষ্টি হলে ঠাণ্ডা ভাব থাকবে। এতে বিদ্যুতের চাহিদা কম। আর চাহিদা কম মানেই অল্প উৎপাদনেই নিয়ন্ত্রন। কারণ পুরো চাহিদার বিদ্যুৎ উৎপাদন বা সরবরাহ সম্ভব নয়।
দোকান মালিকদের এমনই বৃষ্টির ভরসায় রমজানে বিদ্যুৎ চালাতে বললেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। আর এজন্য তিনি তাদেরকে তৈরী থাকতে বললেন জেনারেটর নিয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাথে আসন্ন রমজানে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করে বিদ্যুৎ বিভাগ। বৈঠকে উপদেষ্টা ছাড়াও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রমজানে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য সকলের কাছে আহবান জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকছুদা খাতুন।
বৈঠকে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এস এ কাদের কিরণ, মহাসচিব শাহ আলম খন্দকার ও সকল বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, রমজানে যদি বৃষ্টি হয় তবে সমস্যা হবে না। তবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। গরম পরতে পারে। সেক্ষেত্রে ধৈর্য্য ধরে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাবে না। ইফতারের সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রন যন্ত্র বন্ধ রাখতে হবে। লোডশেডিং করা প্রয়োজন হতে পারে। সে জন্য তৈরী থাকতে হবে। সম্ভব হলে এখনই জেনারেটরের জন্য তেল কিনে রাখতে পারেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সকলের সহযোগিতা দরকার হবে। তবে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি এমন থাকবে না।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাহিদা বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়েছে। চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে সমান জায়গাতে যেতে আরও কয়েক বছর লাগবে। কয়েক বছর পর আর কোন অনুরোধ প্রয়োজন হবে না। তখন সকলে চাহিদা মত বিদ্যুৎ পাবে। তিনি সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য আহবান জানিয়ে বলেন, রমজানে আলোকসজ্জা বেশি হয়। এটা কমিয়ে আনতে হবে।
বৈঠকে ১০টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
১৫ রমজান পর্যন্ত রাত আটটায় বিপনী বিতান ও দোকান বন্ধ করতে হবে। ১৫ রমজানের পর ইচ্ছেমত খোলা রাখা যাবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হবে। সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদার সময় অর্থাৎ সন্ধ্যায় রি-রোরিং মিল, ওয়েল্ডিং মেশিন, লল্ড্রীসহ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী সরঞ্জাম ব্যববহার বন্ধ রাখতে হবে। কোন এলাকায় লোডশেডিং করতে হলে তা গ্রাহককে আগে থেকেই বলতে হবে। বিপনী বিতানগুলোতে প্রয়োজনের বেশি বাতি ব্যবহার করা যাবে না। ইফতার ও তারাবির সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রন যন্ত্রের সাশ্রয়ী ব্যবহার করতে হবে। তারাবির নাজামের সময় লোডশেডিং করা যাবে না। বিদ্যুতের অপচয় রোধ করতে সিএফএল বাল্বের পরিবর্তে এলইডি ব্যবহারে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক এক দিন এক এক এলাকার বিপনী বিতান বন্ধ রাখার নিয়ম (হলিডে স্ট্যাগারিং) কার্যক্রম জোরদার করা হবে। সর্বোচ্চ চাহিদার সময় প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।