রাজধানীবাসি সহনীয় মাত্রার চেয়ে তিনগুণ তীব্রতার শব্দদূষণে আক্রান্ত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শব্দ দূষণ থেকে মুক্ত থাকতে আমাদের প্রত্যেককে শব্দ সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় শব্দ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এলক্ষ্যে শিশুদেরকে শৈশব থেকেই শব্দ সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে। সকলে মিলেই আমরা নিরাপদ আবাস গড়ে তুলবো।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত এক ভার্চুয়াল কর্মশালায় যুক্ত হয়ে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘সকল নীরব এলাকা শব্দমুক্ত করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, বিআরটিএসহ বিভিন্ন সংস্থা একসাথে কাজ করবে। প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন পরিবর্তন করে নতুন আইন প্রবর্তন এবং কঠোরভাবে বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

পরিবেশমন্ত্রীর মতে, ঢাকা শহর সহনীয় মাত্রার চেয়ে তিনগুণ তীব্রতার শব্দদূষণে আক্রান্ত। এর ফলে প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতিনিয়ত অসচেতনতাবশত, অকারণেই ঘরে এবং ঘরের বাইরে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। আবাসিক এলাকায় যানবাহনে অযাচিত হর্ণের ব্যবহার, নির্মাণ কাজে সৃষ্ট শব্দ, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাইক/সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে সৃষ্ট শব্দ দ্বারা প্রতিনিয়ত শব্দদূষণ হচ্ছে যা মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত করছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উচ্চশব্দ কম সময়ের জন্য হলেও তা শ্রবণ শক্তির জন্য ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ১.১ বিলিয়ন মানুষ (১২-৩৫ বছর বয়সী) অত্যধিক শব্দযুক্ত বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকার কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাস হওয়ার ঝুঁকিতে রযেছে। মানসম্মত জীবন যাপনের লক্ষ্যে শব্দদূষণের বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যকেও সচেতন করতে সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহবান জানাই।