নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আবার উৎপাদন শুরু হয়েছে। কয়লা সংকটে উৎপাদনের কিছু দিন পরে বন্ধ হয়ে যায় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
কিছু দিন আগে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা এসেছে। কয়েক দিনের মধ্যে আরো ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আসবে।
চুক্তির প্রায় ১০ বছর পর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিটে গত ১৭ই ডিসেম্বর রাতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু কয়লা সংকটে ১৪ই জানুয়ারি থেকে উৎপাদন বন্ধ ছিল। ডলার-সংকটের কারণে এলসি জটিলতায় কয়লা আমদানি করতে না পারায় কেন্দ্রের কয়লার মজুত শেষ হয়ে যায়।
চলমান এই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। কেন্দ্রটিতে তিন মাসের কয়লা মজুতের সক্ষমতা রয়েছে। তবে নিরবচ্ছিন্নভাবে উৎপাদন চালু রাখতে এক মাসের কয়লা মজুত রাখার নিয়ম আছে।
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এনার্জি বাংলাকে বলেন, কয়লা সংকটে বন্ধ থাকা ইউনিটটি বুধবার রাত ১১টা ৩ মিনিটে চালু হয়েছে। কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় কেন্দ্রটি চালু করা হয়। একটি জাহাজে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা এসেছে। একটি ইউনিট চালু রাখতে দিনে পাঁচ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন। তাই এ কয়লায় কেন্দ্রটি ছয় দিন চালু থাকবে৷ ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে আসতে ১০ দিন সময় লাগে৷। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আরেকটি জাহাজ আসবে বলে তিনি জানান৷
বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে। প্রথম ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ইউনিট থেকে সব্বোর্চ ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছিল।