রামপালে ইউনেস্কো: সুন্দরবন-বিদ্যুৎ উভয় চায় গ্রামবাসি

রামপালের মৈত্রী থারমাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করল ইউনেস্কো প্রতিনিধিদল।
বুধবার ইউনেস্কোর তিন প্রতিনিধি প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন। সেখানে তারা বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) কর্মকতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের সঙ্গেও কথা বলেন।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র থেকে পাঠানো রি-অ্যাকটিভ মনিটরিং মিশন নামের এই প্রতিনিধিদলে ফ্রান্স ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান ইউনিটের প্রকল্প কর্মকর্তা ফ্যানি এডোলফিন এম ডোভের, যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ নওমি ক্লার ও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মিজুকি মুরাই। এ ছাড়া প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
ইউনেস্কো প্রতিনিদিদল রামপাল গ্রামবাসির সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় গ্রামবাসি বলেন, আমরা অক্ষত সুন্দরবন চায়। একই সাথে চা্য় এলাকার উন্নয়নে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হোক।
বৈঠকে ইউনেস্কো প্রতিনিধি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহার করা কয়লা পরিবহন, পরিবহনের সময় দুর্ঘটনা হলে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের চিমনি কেমন হবে, কয়লা বোঝাই জাহাজ আসার পথে নদীতে ডুবে গেলে করণীয় কি হবে, সুন্দরবন থেকে এই কেন্দ্রের দুরত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদল।

ইউনেস্কোর রামপাল পরিদর্শনের পর কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জল কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, ইউনেস্কো প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়েছি। তারা যেসব প্রশ্ন করেছে সেগুলোর যথাযথ উত্তর দেয়া হয়েছে। তাদেরকে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখানো হয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের যে কোনো ক্ষতি হবে না সে বিষয়ে তারা আশ্বস্ত হয়েছে বলে আশা করছি।

এই বিশেষজ্ঞ দলটির প্রতিবেদনের ওপরই নির্ভর করছে জাতিসংঘের ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় সুন্দরবনের নাম থাকা না থাকার বিষয়টি।