রামপালে ঝুঁকি বিবেচনা করতে হবে: মসিউর
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত ঝুঁকি থাকলে তা আরও সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত জ্বালানি খাতে বড় প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
ডিসিসিআই এর সভাপতি হোসেন খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মসিউর রহমান।
মশিউর রহমান বলেন, রামপাল এখন বিতর্কে পরিণত হয়েছে। এটা সঠিক কারণে হতে পারে, বেঠিক কারণেও হতে পারে। কিন্তু আমি অনেক দিন ধরেই সেখানে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সমর্থক ছিলাম। তিনি বলেন, খুলনা অঞ্চলে একসময় অনেক পাটশিল্প ছিল। কিন্তু এখন খুলনা শিল্পহীন হয়েছে। খুলনা ও যশোরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার রাস্তার পাশে অনেক মাঝারি কারখানা আছে। গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে তারা তাদের উৎপাদনক্ষমতার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারে না। এসব কারখানায় বিদ্যুৎ-গ্যাস দেয়া গেলে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত বিনিয়োগ ছাড়া উৎপাদনক্ষমতা দ্বিগুণ করা সম্ভব।
মসিউর বলেন, আমার কাছে যে তথ্য আছে তা হলো, সুন্দরবনের সংরক্ষিত অঞ্চলের চার থেকে ছয় মাইল দূরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হবে। তবে সেখানে যদি কোনো ইস্যু (বিষয়) থাকে, তাহলে তা আরও সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেইন বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবনের ক্ষতি করবে না। সমীক্ষা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সুন্দরবন দেশের ১৬ কোটি মানুষের সম্পদ। এটির ক্ষতি হয় কি না, তা দেখা সরকারেরই দায়িত্ব।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সচিব এম ফাওজুল কবির খান বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানি খাতকে সহায়তা করছে না, বরং অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। তাই এটি সরিয়ে নেয়া উচিত।