রামপালে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে বিআইএফপিসিএল
রামপালে দরিদ্র মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)। চিকিৎসাপত্র সাথে ওষুধ। প্রয়োজনে জরুরি চিকিৎসা সেবা। সাথে হচ্ছে অতিপ্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষাও।
সপ্তাহে দুইদিন, শনি ও মঙ্গল এই বারে সাধারণের জন্য চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ঠদের জরুরিসহ সার্বক্ষনিক সেবা দেয়া হচ্ছে।
২০১৪ সালের ১৬ই এপ্রিল এই সেবা কার্যক্রম শুরু হয়। গত ২৭ শে সেপ্টেম্বর চিকিৎসা কেন্দ্র আরও উন্নতভাবে চালু করা হয়েছে।
এখন সেখানে একজন চিকিৎসক ও দুইজন সহকারি বসেন।
ইসিজি, ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার পরীক্ষাসহ ক্লিনিক্যাল সব সেবা দেয়া হয় এখানে। জরুরি প্রয়োজনে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পরীক্ষা করা হচ্ছে নাক, কানও। এছাড়াও চিকিৎসাকেন্দ্রে দুটো শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে সাময়িকভাবে রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। পুরো কাজটি তদারকি করা হয় প্রধান কার্যালয় থেকে। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে মাঝে মাঝে করা হয় সেমিনার। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকার চিকিৎসকরা নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
রামপালের রাজনগর, চালনা, দ্বিগরাজসহ আশেপাশের বেশ কয়েক গ্রামের সাধারণ মানুষ এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। প্রতিদিন প্রায় ১০০ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বিআইএফপিসিএল চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. আতিক উল্লাহ এনার্জি বাংলাকে বলেন, ঢাকা থেকে রামপালের চিকিৎসা ব্যবস্থা তদারকি করা হয়। রামপালে শুধু সাধারণ ওষুধই নয় প্রথমসারির এক্টিবায়োটিকও বিনামূল্যে দেয়া হয়। ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য ভাল মানের ফার্মাসিউটিক্যালসে এর ওষুধ সরবরাহ করা হয়। তিনি বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হয় সে লক্ষেই কাজ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকার আশেপাশের বেশিরভাগ মানুষই দরিদ্র। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নেয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই অনেকের।
এই উদ্যোগের কারলে তারা সুন্দরভাবে চিকিৎসা পাচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে প্রয়ােজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য আরো উন্নত জায়গাতে পাঠানো হচ্ছে। চিকিৎসা কেন্দ্রটির সেবার এই পরিসর আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বলে তিনি জানান।
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকার ১০ থেকে ১২ কিলোমিটারেরর মধ্যে ভাল চিকিৎসা সেবা নেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য গ্রামবাসির জন্য চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র বেশ উপকারি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ছয় হাজার ৩৬১ জন এই চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে সেবা নিয়েছেন।
কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব (সিএসআর) এর আওতায় এই চিকিৎসা কার্যক্রম করা হচ্ছে।