রামপাল: ইউনেস্কোর ‘৩৬ তথ্যে ভুল’ পেয়েছে বিদ্যুৎ কোম্পানি
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের সম্ভাব্য ক্ষতির আশঙ্কা করে উদ্বেগ জানিয়ে যে চিঠি ইউনেস্কো পাঠিয়েছে, তাতে ৩৬টি ভুল পাওয়ার দাবি করেছে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি।
মঙ্গলবার খুলনা প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জ্বল ভট্টাচার্য জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিবেদন নিয়ে এই দাবি করেন।
উজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, ইউনেস্কোর পাঠানো ১০ পাতার ওই রিপোর্ট ৩৬টি তথ্যগত ভুল রয়েছে। তিনি বলেন, ইউনেস্কো বা বিশ্ব ব্যাংক যা বলবে তা সব সময় ভালো কিছু হবে এমন নয়। যারা উন্নত, তারা সব সময়ই অনুন্নত দেশকে দমিয়ে রাখতে চায়। এ কারণে অনুন্নত দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকে তারা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না দাবি করে তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার বিষয়টি মাথায় রেখেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
কলকাতায় চারটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকার তথ্য তুলে ধরে ভারতের সঙ্গে যৌথ এই কোম্পানির এমডি বলেন, সেগুলোর কারণে কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।
সভায় জানানো হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৯৩ শতাংশ, অন্যদিকে বাংলাদেশে এ ধরনের প্রকল্প দুই শতাংশেরও কম।
প্রকল্পের অবস্থান নিয়ে বলা হয়, সুন্দরবনের প্রান্তসীমা থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার এবং সংরক্ষিত বন থেকে ৬৫ কিলোমিটার। প্রকল্পে ব্যবহৃত চিমনির উচ্চতা হবে প্রায় ৯০০ ফুট। পাশাপাশি এই প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। ফলে বনের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
সভায় খুলনার জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। ফলে ওই এলাকায় মানুষের কর্মসংস্থান হবে।