রামপাল চুক্তি বাতিল ও ৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ
রামপাল চুক্তি বাতিল এবং সাত দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাতীয় কমিটি। সমাবেশের পর একটি মিছিল করা হয়। মিছিলে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও বামপন্থী নেতারা নেতৃত্ব দেন। মিছিল থেকে রামপাল চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে আনু মুহাম্মদ বলেন, দেশের এক মন্ত্রী বলেছেন, বুড়িগঙ্গা নদীকে তাঁরা হাতিরঝিলের মতো বানাবেন। যাঁরা ঝিল আর নদীর পার্থক্য জানেন না, খনিজ কয়লার সঙ্গে কাঠ কয়লার পার্থক্য বোঝেন না, ধ্বংসের সঙ্গে উন্নয়নের পার্থক্য বোঝেন না এবং দেশের স্বার্থের সঙ্গে কতিপয় লুটেরার স্বার্থের পার্থক্য করতে পারেন না, তাঁদের হাতে দেশের মানুষ আজ জিম্মি।
সমাবেশে আনু মুহাম্মদ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি বৈশ্বিক প্রতিবাদ দিবসে ‘ইয়েস টু লাইফ’, ‘নো টু কোল’, ‘সেভ সুন্দরবন’ শীর্ষক স্লোগানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতিবাদ জানাবেন। বাংলাদেশেও এ দিবস পালন করা হবে। ১৪ জানুয়ারি রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে দেশে বিকল্প জ্বালানি নিশ্চিত করার বিষয়ে একটি মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে। আর ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সরকার দাবি না মানলে ২৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগরীতে সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত হরতাল পালিত হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্কসবাদী) শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।