রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তি বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ করবে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
গতকাল শনিবার পল্টনের মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা।বক্তব্য রাখেন কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, নুর মোহাম্মদ, রুহিন হোসেন প্রিন্স, রাগিব আহসান মুন্না, জোনায়েদ সাকী প্রমুখ।
কল্লোল মোস্তফা বলেন, মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি কনোকো-ফিলিপস, ভারতীয় ওএনজিসি, নরওয়ের স্টেট অয়েল এবং সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ক্রিস এনার্জির সঙ্গে সংশোধিত মডেল পিএসসি ২০১২ অনুসারে সরকার গভীর ও অগভীর সমুদ্রের বিভিন্ন গ্যাস ব্লকের যে ইজারা চুক্তি করতে যাচ্ছে তাতে জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হবে না।
শহীদুল্লাহ বলেন, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতীয় কোম্পনির বিরাট মুনাফা নিশ্চিত করতে সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প অব্যাহত রাখা হয়েছে।দেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো প্রকল্প প্রতিরোধে যে কোন কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে।আনু মুহাম্মদ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সামনে রেখে মন্ত্রী সংসদ সদস্যসহ ক্ষমতাবানরা সুন্দরবন এলাকায় জমি দখলের তত্পরতায় নেমেছে।দেশি বিদেশি লুটেরাদের স্বার্থে পরিচালিত না হলে সরকারের অগ্রাধিকার হতো রামপাল ও রূপপুর প্রকল্প বাতিল করা এবং জাতীয় সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংকটের টেকসই সমাধান।
জাতীয় কমিটির অন্য দাবিগুলো হচ্ছে-ভাড়ায় আনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি বাতিল করে সরকারি কেন্দ্র মেরামত করে চালু করা, খনিজ সম্পদ রফতানি নিষিদ্ধকরণ আইন করা, পিএসসি প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে স্থলভাগ ও সাগরে নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানে বাপেক্সকে প্রয়োজনীয় সুযোগ দেয়া, বিদ্যুৎ গণপণ্য বিবেচনা করে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দেশীয় মালিকানায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, শতভাগ গ্যাস কয়লা বাংলাদেশের শিল্পায়ন ও বিদ্যুৎ উত্পাদনের কাজে ব্যবহার করা, এশিয়া এনার্জিকে বহিষ্কারসহ ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করে জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে কয়লা সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি নির্ধারণ।