রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবি কলকাতায়

সুন্দরবন বাঁচাতে হলে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করতে হবে।
২২ ও ২৩ জুন দুইদিনব্যাপী কলকাতায় অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিরা এ দাবি করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভার প্রথমদিন শুক্রবার পরমাণু বিজ্ঞানী ডক্টর শুভাশীষ মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজ্ঞানের কথা বলে ধ্বংস ও দখলকে উন্নয়ন হিসেবে হাজির করা হয়। এই চিন্তার আধিপত্য দূর করতে বিজ্ঞানকে কর্পোরেট পুঁজির শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে হবে।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিভিন্ন তরুণ লেখক শিল্পী পরিবেশবিধ্বংসী তৎপরতাকে জনগণের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে।
‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র: পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, তাজমহল সপ্তাশ্চর্যের একটি। তার একটু দূষণ হলে আমরা সবাই পীড়িত বোধ করি। কোনও নির্বোধও বলবে না, তাজমহল ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হোক। সেই তাজমহলও মানুষের পক্ষে আরেকটি বানানো সম্ভব। কিন্তু সুন্দরবন আরেকটি কেউ বানাতে পারবে না। এটি দুই বাংলার অসাধারণ সম্পদ, দুই বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবেই তা বাঁচাতে হবে।
শনিবার ন্যাশনাল এ্যালায়েন্স ফর পিপলস মুভমেন্টস, ফিস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয় ‘কনসার্নড সিটিজেনস মিটিং টু সেভ সুন্দরবন’। ওই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান মোর্চার সমন্বয়ক সৌম্য দত্ত, বিজ্ঞান লেখক প্রদীপ দত্ত, পরিবেশ গবেষক প্রফেসর সৌমেন বসু, সৌরেন বোস, দিলীপ হালদার, মিতা দে প্রমুখ।
এ সময় সৌম্য দত্ত বলেন, ভারতের কোম্পানি এনটিপিসি এই সর্বনাশা প্রকল্প হাতে নিয়েছে, ভারতীয় আরেক কোম্পানি এই কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে, ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক এই বিষাক্ত প্রকল্পে অর্থযোগান দিচ্ছে। ভারতীয় কোম্পানি কয়লা যোগান দিতে যাচ্ছে। অতএব ভারতের নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব বিশ্ব সম্পদ সুন্দরবনের ধ্বংস ঠেকাতে সোচ্চার ও সক্রিয় হওয়া। এই প্রকল্প বাতিল না হলে আরও বিপজ্জনক প্রকল্প দুইদেশকে মহাবিপদের দিকে নিয়ে যাবে।