রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে জামানত দিল ভেল
রামপালে কয়লাভিত্তিক এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ভারতের কোম্পানি ভেল জামানতের অর্থ জমা দিয়েছে। রোববার বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এর কাছে এই অর্থ জমা দিয়েছে।
বিআইএফপিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জল কান্তি ভট্টাচার্য সোমবার এনার্জি বাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জামানতের অর্থ জমা দিয়েছে মানেই ভেল এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার বিষয়টি নিশ্চিত করল। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের সাথে চুক্তি করা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগ মূত্র জানায়, ভেলের সাথে চূড়ান্ত চুক্তির কার্যপত্রের আইনি পর্যালোচনা চলছে। এই পর্যালোচনা শেষেই তাদের সাথে চুক্তি করা হবে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে মোট অর্থের তিন শতাংশ জামানত হিসেবে জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কেন্দ্র স্থাপনে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ২০১ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে না পারলে কিম্বা চুক্তি অনুযায়ি কোন কাজ না করলে এই জামানত থেকেই অর্থ কেটে নেয়া হবে।
দরপ্রস্তাব মূল্যায়নের পর গত জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে বিআইএফপিসিএল তাদের বোর্ড সভায় সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ভেলকে অনুমোদন দেয়। একই মাসের শেষের দিকে পিডিবি ও এনটিপিসি তাদের বোর্ড সভায় ভেলকে কাজ দেয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেয়।
সংশ্লিষ্ঠরা জানান, তিন বোর্ডের অনুমোদন পাওয়ার পর গত ৩০ জানুয়ারি ভেলকে চিঠি দিয়ে চুক্তি করতে বলা হয়েছে। শর্ত অনুযায়ি, চিঠি পাওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ভেলকে বিআইএফপিসিএল এর সঙ্গে চুক্তি করার কথা ছিল। ২৮ দিন শেষ হয়েছে। কিন্তু চুক্তি না হলেও জামানতের অর্থ (পারফরমেন্স গ্যারান্টি) জমা দিয়েছে ভেল।
ভেল নির্ম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ পেলে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনে অর্থায়ন করবে বলে জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যাংকের সঙ্গে একটি অর্থচুক্তিও করা হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে অর্থনৈতিক চুক্তি করা হবে বলে জানা গেছে।
অথনৈতিক চুক্তির ৪১ মাসের মধ্যে প্রথম ইউনিট এবং ৪৬ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আনতে হবে। এই হিসেবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন শেষ হবে ২০১৯ সালের শেষে। রামপাল কেন্দ্রের ৭০ শতাংশ অর্থ ঋণ নেয়া হবে। বাকি ৩০ শতাংশ পিডিবি ও এনটিপিসি যৌথভাবে বিনিয়োগ করবে।