রামপাল বিদ্যুৎ বাংলাদেশের আর্শিবাদ: তাজুল ইসলাম
বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎেকন্দ্র বাংলাদেশের জন্য আর্শিবাদ। এতে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না। বরং ঐ এলাকায় কর্মসংস্থান হবে। হবে নগরায়ন।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা পরিদর্শন করে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলেন তিনি একথা বলেন। জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।গত ১৬ থেকে ১৭ এপ্রিল তিনি রামপাল এলাকা পরিদর্শন করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের বিরোধীতা করে যা বলা হচ্ছে তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার জন্য বনে যেতে হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কয়লা বিদ্যুৎ অপরিহার্য । কৃষি, শিল্পসহ সব ধরণের উন্নয়নে বিদ্যুৎ দরকার। বিদ্যুতের উৎপাদনে বর্তমানে য্ক্তুরাষ্ট্র, ভারতের মতো বড় বড় দেশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে। তাদের উৎপাদনের একটি বড় অংশ আসে কয়লা থেকে। তিনি বলেন, অন্য জ্বালানি তুলনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কম। এই জন্য সরকার কয়লাভিত্তক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মাতারবাাড়ি, পায়রা ও রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে হবে। এতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না।
তাজুল ইসলাম বলেন, এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে পশুর নদীর পরিবেশ খুব বেশি পরিবর্তিত হবে না। এ নদী দিয়ে এখন দিনে ১০০টি জাহাজ আসা-যাওয়া করে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আরো দু’একটি জাহাজ যাতায়াত করলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সুন্দরবনের দুরত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রটি সুন্দরবনের মূল এলাকা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মানুষের কর্মকাণ্ডে বন অনেক পেছনে সরে গেছে। সে হিসেবে এখন সুন্দরবনের অবস্থান প্রায় ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। রাস্তাঘাট হবে। প্রায় ১২/১৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। অর্থনীতিতেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে কয়লা ব্যবহার করা হবে তাতে সর্বোচ্চ দশমিক নয় শতাংশের বেশি সালফার থাকবে না। এছাড়া চিমনিও বেশি উচ্চতার হওয়ায় বায়ু দূষণ হেব না।
এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, রামপালের কারণে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন উদ্বেগ ইউনেস্কো জানায়নি। তিনি বলেন, এক সময় সুন্দরবনে ৬০০ বাঘ ছিল। এখন ১০৬টিতে নেমে এসেছে। সে সময় তো রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল না।