রামপাল বিদ্যুতের প্রভাব পর্যালোচনায় ইউনেস্কো বাংলাদেশে

রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে কিনা – তা পর্যালোচনায় বাংলাদেশে এসেছেন ইউনেস্কো প্রতিনিধি দল।

সোমবার প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য ঢাকায় এসে পৌছেছেন। আরও দুজন মঙ্গলবার আসবেন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয় সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবন কোন স্থাপনার কারণে হুমকিতে আছে কিনা তা- এই প্রতিনিধি দল পর্যালোচনা করবে। তারা সুন্দরবন সরোজমিন ঘুরবে এবং সরকারের নীতি নির্ধারকদের সাথে আলোচনা করবে।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র থেকে পাঠানো রি-অ্যাকটিভ মনিটরিং মিশন নামের এই প্রতিনিধিদলটি ২৮ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে। তারা তিনদিন সুন্দরবন ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করবেন।
সুন্দরবন পরিদর্শন শেষে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ মন্ত্রণালয়সহ সুন্দরবন সংশ্লি­ষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আব্দুল হান্নান বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য পরিদর্শন ইউনেস্কোর নিয়মিত কাজ। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক দেশেই তারা এমন পরিদর্শন করে থাকে। সেই নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এসেছে। তারা স্বাধীনভাবে যাতে পর্যালোচনা করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানান, সুন্দরবন রক্ষায় যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা এরইমধ্যে ইউনেস্কোকে জানানো হয়েছে।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কনভেনশন বাস্তবায়ন বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী তারা কাজ করে। ঐতিহ্য রক্ষায় পর্যালোচনা শেষে সংশ্লি­ষ্ট দেশের সরকারকে পরামর্শ ও সুপারিশও দেয়। সরকার তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে বিশ্ব ঐতিহ্যের নামের তালিকা থেকে বাদ যায়।
এদিকে সুন্দরবনের পাশে শ্যালা নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। কোস্টার মালিকের বির“দ্ধে মামলা বন বিভাগ।
গত বছরের মার্চে ইউনেস্কোর বার্ষিক সাধারণ সভায় সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বনের ভেতর নৌ- চলাচল, আশপাশে শিল্পকারখানা ও শ্যালা নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো হয়।
সুন্দরবনের পাশে নৌ-চলাচল ও শিল্পায়নের কারণে দুষণ বেড়েই চলেছে। দূষনের কারণে নদীর পানি এবং সুন্দরবনের পরিবেশ উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
গত শনিবারও কয়লা বোঝাই কার্গো ডুবে গেছে সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ২৩৫ টন কয়লা নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়ায় যাওয়ার পথে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীতে সি হর্স-১ নামের একটি নৌযানের তলা ফেটে যায়। এ ঘটনার পর নৌযানের কয়লা নদীতে ছড়িয়ে পড়ছে। আপাতত ঐ পথে সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।