রাশিয়ার গ্যাস আমদানি আরও বাড়িয়েছে ইউরোপ: রিপোর্ট
ইউরোপ গত বছর রাশিয়ার গ্যাস আমদানি আরও বাড়িয়েছে। এটিকে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় মস্কোকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) জ্বালানি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘এম্বার’ এমনটা জানিয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘ইউরোপ, দুঃখের বিষয় হলো ইউক্রেনকে রক্ষা করার জন্য যত টাকা ব্যয় করেছে, তার চেয়ে বেশি টাকা রাশিয়ান তেল ও গ্যাস কিনে ব্যয় করেছে।’
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রকাশিত প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, গত বছর ইউরোপ ২১.৯ বিলিয়ন ইউরো (২৩.৬ বিলিয়ন ডলার) সমমূল্যের রাশিয়ান গ্যাস কিনেছে। যেখানে তারা ইউক্রেনকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে দিয়েছে মাত্র ১৮.৭ বিলিয়ন ইউরো (২০.১৭ বিলিয়ন ডলার)।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুমান করে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তারা ইউক্রেনে ১৯৪ বিলিয়ন ডলার সামরিক, আর্থিক এবং পুনর্গঠন সহায়তা দিয়েছে।
এম্বারের প্রতিবেদনে উদ্বেগ জানানো হয়েছে, ইউরোপ ২০২৭ সালের মধ্যে রাশিয়ান গ্যাস সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও, সেটা করা তো দূরের কথা, গ্যাস আমদানি আরও ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ভ্লাদিস্লাভ ভ্লাসিউক জানুয়ারিতে কিয়েভে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূতদের বলেছিলেন, গত বছর রাশিয়া থেকে ইইউ-এর গ্যাস আমদানিতে কিয়েভ ‘বিরক্ত’। এটি রাশিয়ার আগ্রাসনকে ইন্ধন যোগাচ্ছে। গ্যাস প্রবাহ বন্ধ করার সময় এসেছে।
হাইড্রোকার্বন শিল্পের একজন অভিজ্ঞ এবং অ্যামফোরএনার্জির জ্বালানি বিশ্লেষক ইয়ানিস বাসিয়াস আল জাজিরাকে বলেন, এটা সত্য যে, ইউরোপ ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে রাশিয়ান গ্যাস আমদানি বৃদ্ধি করেছে। তারা চলতি বছর, অর্থাৎ ২০২৫ সালে আরও বেশি আমদানি করবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র তাদের (ইইউ) বেশি গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে না।
২০২৪ সালে রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস পাঠায় প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ঘনমিটার (বিসিএম)। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র গ্যাস পাঠায় ৫৭ বিলিয়ন ঘনমিটার।