রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি আয় ৩৮% বাড়তে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জ্বালানি রপ্তানি থেকে চলতি বছর রাশিয়া ৩৩ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার আয় করতে পারে। যা গতবছরের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। বেশি তেল রপ্তানির পাশাপাশি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে রাশিয়ার এই লাভ হতে পারে।
পশ্চিমাদের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার পর ধীরে ধীরে তেল উৎপাদন বাড়াতে শুরু করেছে রাশিয়া। ২০২৫ সাল পর্যন্ত তেল উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়বে বলে মনে করছে তারা। এশিয়ার ক্রেতারা তেল কেনা বাড়িয়েছে। রুশ কোম্পানি গ্যাজপ্রম চীনে গ্যাস রপ্তানি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। ভারত আগেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়িয়েছে। বাংলাদেশও রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয় পর্যালোচনা করছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ি রয়টার্স জানিয়েছে, এই বছর গ্যাসের রপ্তানিমূল্য দ্বিগুণ বেড়ে প্রতি হাজার ঘনমিটার ৭৩০ ডলার হতে পারে। যেখান থেকে তাদের আয় বাড়বে।
রাশিয়ার গ্যাসের বড় বাজার ইউরোপ। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নিষেধাজ্ঞা ও রুবলে মূল্য পরিশোধ বিতর্কে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি কমেছে।
গ্যাস রপ্তানি কমায় শুরুর দিকে যে আশঙ্কা করেছিল, তার চেয়ে বরং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছে রাশিয়া। দেশটির অর্থনীতি ১২ শতাংশের বেশি সংকুচিত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা এখন মনে করছে, চলতিবছর মোট দেশজ উৎপাদন ৪ দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।
মুনাফার এই বাড়তি লক্ষ অর্জিত হলে একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত রাশিয়ার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
জার্মানইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট জেনিস ক্লুগা বলেছেন, রাশিয়ার অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব খুবই গভীর। গাড়ি শিল্পের মতো কিছুখাতে এর প্রভাব বিপর্যয়কর। এখন পর্যন্ত তেলখাত তুলনামূলক ভাল আছে। গাড়ি শিল্পের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ও আর্থিক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিমাবিশ্বের সাথে এসবখাত ব্যাপকভাবে যুক্ত।