‘রাশিয়া বলেছে, টাকা দিয়েও তেল কেনা যাবে’ : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, একনেক বৈঠকে আলোচনা হয়েছে যে রাশিয়া বলেছে, টাকা দিয়েও তেল কেনা যাবে। তবে তারা রুবলেই বেশি চায়। কারণ টাকাতো তাদের বেশি দরকার নেই। আবার আমাদেরও বেশি রুবল থাকবে না।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবার রুবল আমাদের কাছে যদি বেশি জমে যায়, তাহলে আমরা কীভাবে দেব। বিষয়টি আমরা এভাবে চিন্তা করছি, হয়ত শূন্য সুদে ঋণ আকারেও এটা নিতে পারি, এটাও হতে পারে। বিষয়টি আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ব্যাপার। বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায়, তার উপায় খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতে আমরা যে রপ্তানি করি, আমদানি করি তার তিনগুণের বেশি। কিন্তু ডলার না হলে এটা রুপিতে পরিশোধ করতে হবে। ভারত যেহেতু আমাদের কাছে তিনগুণ রপ্তানি করে তাহলে আমরা কীভাবে এত রুপি পরিশোধ করব?
এরআগে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কীভাবে আমদানি করা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘তার উপায় খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন’ বলে জানিয়েছে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত যদি রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারব না? রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য রুবলের সঙ্গে টাকা বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ভাবা হচ্ছে। রুবলের সঙ্গে টাকা বিনিময়ের মাধ্যমে এটা করা যেতে পারে।
‘সেপ্টেম্বর থেকে লোডশেডিং থাকবে না’
পরিকল্পনা মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের পর এখন লোডশেডিং হবে এটা তিনি চান না। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, আশা করি সেপ্টেম্বর মাস থেকে দেশে লোডশেডিং থাকবে না।
জ্বালানি তেলের দাম নিয়েও বৈঠকে কথা হয়েছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলেছেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে নিম্ম আয়ের মানুষের বেশি কষ্ট হচ্ছে। কীভাবে এটি সমন্বয় করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমে এলে দেশেও তা সমন্বয় করা হবে। এখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও তার প্রভাব দেশের বাজার পড়বে না। কারণ এখন দেশে আসছে দুই মাস আগে কেনা তেল। এই তেল ১৪৪ ডলারে কেনা। তাই এখন বিশ্ববাজারে দাম কমার সুফল দেশের বাজারে দিতে প্রায় দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে।