রূপপুরের কাজ শুরু সেপ্টেম্বরে
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামো নির্মাণের তৃতীয় পর্বের কাজ শুরু হবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। এ নিয়ে গত দুই দিন রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও সমঝোতা না হওয়ায় চুক্তি হয়নি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগাওগাঁও এ অবস্থিত বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশনে বাংলাদেশ ও রাশিয়া প্রতিনিধি দলের মধ্যে দু’দিনের বৈঠক শেষ হয়েছে। সোমবার উভয়ের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। চুক্তি না হলেও বৈঠক সূত্র জানায়, খুব শিগগির চুক্তি সাক্ষরিত হবে এবং আগামী সেপ্টেম্বরেই তৃতীয় পর্বের কাজ শুরু হবে। কমিশনের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এ কেন্দ্র স্থাপনে তৃতীয় পর্বের কাজের জন্য ৫০ কোটি ডলার প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছিল। এই খরচ আরো কিছুটা বাড়বে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু বাংলাদেশ কোনভাবেই বাড়তি অর্থ দিতে সম্মত হয়নি।
বৈঠকে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান ও রাশিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটমের সহকারি মহাপরিচালক নিকোলাই স্পাসকি দুই দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
গতবছর ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্মন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুরের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ঐ দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের মধ্যে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রাথমিক চুক্তি হয়। রাশিয়া নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ঋণ এনে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে। প্রাথমিকভাবে রূপপুরে এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষা করেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার মোট বিদ্যুতের ১৬ ভাগ হচ্ছে পারমানবিক বিদ্যুৎ থেকে আসে। এই মুহুর্তে ২৪টি দেশে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ করছে রাশিয়া।