রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূসক মওকুফ
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত ছয়টি পণ্যের ওপর শতভাগ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট বা মূসক) অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সরকারের ‘ফাস্ট ট্রাক’ বা অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে উৎপাদিত বিদ্যুতের শতকরা ১০ ভাগ পারমানবিক উৎস হতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। সে উদ্দেশে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি সরকারের ফাস্ট ট্রাক তালিকাভূক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে নির্ধারণ করা আছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সংক্রান্ত আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমঝোতা চুক্তি অনুসারে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত পণ্য বা সেবার ওপর প্রযোজ্য মূসক পরিশোধের দায়বদ্ধতা রয়েছে।
মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১’র ১৪ উপধারা (২) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত ছয়টি পণ্য বা সেবার ওপর শতভাগ এ মূসক অব্যাহতি প্রযোজ্য হবে।
এরমধ্যে রয়েছে- বন্দর, ফ্রেইট ফরোওয়ার্ড, বিমা কোম্পানি, প্রকল্পের কন্টাক্টর, সাব-কন্টাক্টরের স্থানীয়ভাবে পণ্য বা সেবা ক্রয় ও ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।
২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর পাবনার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে চুক্তি সই করে সরকার। এ সময় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুভাসকিং চুক্তিপত্রে সই করেন।
চুক্তি অনুযায়ী ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার (১ লাখ এক হাজার কোটি টাকা) ব্যয়ে এ কেন্দ্র নির্মাণ করবে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠানটি। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল সাত (০৭) বছর ধরা হয়েছে।