রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র: দ্বিতীয় ইউনিটের টারবাইন হলের স্লাবের কাজ শেষ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও এগিয়ে চলেছে। দ্বিতীয় ইউনিটের টারবাইন হলের ভিত্তি ¯ø্যাবের কাজ শেষ। এই হলেই টারবাইন ও বাষ্প জেনারেটর স্থাপন করা হবে। এখন দেয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। ৬ই আগষ্ট এই নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এতে তিন হাজার ৭৮২ টন রেইনফোর্সড রড এবং ২৩ হাজার ৫৫০ ঘন মিটার কনক্রিট ব্যবহার হয়েছে ভিত্তি স্লাবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে টারবাইন হলের ভিত্তি স্লাব নির্মাণ শেষ হয় চলতি বছরের ৩০শে জানুয়ারী।
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট সের্গেই লাসতোচকিন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এখন টারবাইন হলের দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে।
টারবাইন হলে টারবাইন ও বাষ্প জেনারেটর স্থাপন করা হবে। রিয়্যাক্টর কোরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শীতলকারী পানী অথবা গ্যাস, রিয়্যাক্টরে উৎপাদন হওয়া তাপ অপসারণ করে বাষ্প জেনারেটরে নিয়ে আসে। এই তাপশক্তি বাষ্প জেনারেটরে বাষ্প উৎপাদনের কাজে ব্যবহার হয়। বাষ্পের যান্ত্রিক শক্তি টারবাইন জেনারেটরে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করে। এই বিদ্যুৎ বৈদ্যুতিক লাইনের সাহায্যে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যায়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুটি ইউনিটের নির্মাণ কাজ চলছে। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে একটি করে ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর। সর্বাধিক নিরাপদ এই রিয়্যাক্টরে সক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ¯^য়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকবে।
বিজ্ঞান সচিব আনোয়ার হোসেন এনার্জি বাংলাকে বলেন, রূপপুর প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে। প্রথম ইউনিটটি ২০২৩ এবং দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালে উৎপাদনে যাবে।
রূপপুর প্রকল্প নির্মাণের প্রতিটি ধাপ পর্যবেক্ষণ করছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা-আইএইএ এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ-বায়রা।
সম্প্রতি রূপপুরে জ্বালানি সরবরাহের জন্য রাশিয়ার সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎকেন্দ্রে আজীবন জ্বালানি সরবরাহ করবে রাশিয়া।