রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য ১১দশমিক৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণপত্র খোলা হল

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রর কাজ এগিয়ে চলেছে

রূপপুর পরমানু বিদ্যুৎকেন্দ্রর যন্ত্র আমদানি করতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে। বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন সোনালি ব্যাংকের মাধ্যমে এই ঋণপত্র খুলেছে। এতে এক মাসে ঋণপত্র খোলায় রেকর্ড হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রর জন্য ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণপত্র খোলা হয়েছে। এই ঋণপত্র খোলার কারণে নভেম্বর মাসে এবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমান ঋণপত্র খোলার রেকার্ড হল। আর সব মিলে নভেম্বর মাসে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১৬ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার।

পাবনার রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রর মূল যন্ত্র আমদানি করতেই এই ঋণপত্র খোলা হয়েছে।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে রাশিয়া সরকার ৯০ ভাগ ঋণ দিচ্ছে। এই ঋণের সুদের হার ধরা হয়েছে লাইবরের সাথে ১.৭৫ শতাংশ। বাকী ১০ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, এই ঋণপত্র খোলাতে দেশের বৈদেশিত মুদ্রায় কোন প্রভাব ফেলবে না। স্থানীয় বাজারেও এর কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ যেখান থেকে এই যন্ত্র নেয়া হবে সেখান থেকেই ঋণ নেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ রাশিয়া থেকে যন্ত্র আনা হবে আবার রাশিয়াই এই যন্ত্র কিনতে ঋণ দিচ্ছে। এজন্য এতে স্থানীয় বাজারে যেমন প্রভাব পড়বে না তেমনই প্রভাব পড়বে না বৈদেশিক মুদ্রা মজুদে।

এর আগের মাসে, অক্টোবরে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৪ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। আর গতবছর ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে মোট ঋণপত্র খোলা হয়  ৪ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। আর এই নভেম্বরে রূপপুরের অর্থ বাদ দিলে ৪ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার ঋণপত্র খোলা হবে।

রূপপুরের প্রায় পুরোটাই বৈদেশিক ঋন। বৈদেশিক ঋণের যে যন্ত্র আমদানি করা হবে তার নিয়ম কানুন পুরণ করে দিচ্ছে ব্যাংক। বিএইসি এই ঋণের সব নির্ধারণ করেছে। ৩০ বছরের জন্য এই ঋণ নেয়া হচ্ছে। এরমধ্যে প্রথম ১০ বছর কোন সুদ হবে না। এবছর মার্চ মাস থেকে এই ঋণের হিসাব শুরু হয়েছে।

রূপপুরে ১২০০ মেগাওয়াট করে দুটো অর্থাৎ ২৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হচ্ছে। এখানে আধুনিক ১২০০+ ভিভিআর প্রযুক্তি ব্যবহার হবে।  ২০২৪ সালে এখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০ শে নভেম্বর রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রর কংক্রিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরমাধ্যমে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রর আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়েছে।