রোজা ও বিশ্বকাপে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ

আগামী ১২ জুন থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল এবং একই মাসের শেষদিকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। তখন দেশে বিদ্যুতের চাহিদা অন্য যে-কোনও সময়ের চেয়ে বেশি থাকবে। ফলে সরকার ফুটবলপ্রেমী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কথা বিবেচনায় রেখে ও ই সময় সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদনের মধ্যে পার্থক্য কমিয়ে আনার পাশাপাশি বিতরণব্যবস্থায় ত্রুটি সারানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিশেষ করে আজান, ইফতার, তারাবি, সেহরির সময় এবং খেলা চলাকালে যেন কোথাও লোডশেডিং না হয়, সে জন্য উৎপাদন ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদি কোনও কর্মকর্তার অবহেলার কারণে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট বা সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়, তবে তার বা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ জানায় ।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিবছরই পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে বিদ্যুৎ-সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সচেষ্ট থাকে সরকার। এ বছর বিশ্বকাপ ফুটবল এবং রমজান একই সঙ্গে হওয়ায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
সূত্র জানায়, অন্যান্য বারের মতো এবারও রমজানে বিদ্যুৎ-সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে শিল্পকারখানা বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এছাড়া সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হবে। তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশাপাশি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোদমে চালু রাখতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় গ্যাস সরবরাহে পেট্রোবাংলাকে অনুরোধ করা হবে। এছাড়া জোনভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য টিম গঠন, গ্রিড সাবস্টেশন এবং কন্ট্রোলরুমগুলোয় পিক আওয়ারে সিনিয়র প্রকৌশলীদের দায়িত্বে রাখা, কোনও ট্রান্সফরমার নষ্ট হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিস্থাপন, সবগুলো বিতরণ কোম্পানিকে আগেভাগেই প্রয়োজনীয় ট্রান্সফরমারসহ যন্ত্রপাতি সংরণ করতে বলা হবে। একই এলাকায় বারবার লোডশেডিং না করা বা লোডশেডিং করতে হলেও শিডিউল আগে থেকেই জনগণকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হবে। থাকবে সচিবালয়সহ বিভিন্ন অফিসে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম।