রোহিঙ্গা শিবির সৌরবিদ্যুৎ দিচ্ছে আইএমও
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) কক্সবাজারের কুতুপালং ও বালুখালিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংস্থার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে সরবরাহের জন্য সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
আইএমও’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা বলা হয়।
কুতুপালং ও বালুখালি ক্যাম্পে বর্তমানে চার লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার কারণে এ পর্যন্ত ছয় লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। ফলে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৩৩ হাজার।
কক্সবাজারে আগে থেকে বসবাসরত রোহিঙ্গা, নতুন করে আসা রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় লোকজনের স্বাস্থ্যসেবা খুবই প্রয়োজন।
কক্সবাজারে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা জন¯্রােত আসার আগে আইএমও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিবিড় সহযোগিতায় স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করতো।
গত তিন মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিপুল সংখ্যক লোকের আগমনের ফলে স¦াস্থ্য খাতের ওপর প্রচ- চাপ বেড়েছে। গত ২৫ আগস্ট থেকে আইএমও টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী উভয়ের জন্য ৭৫ হাজার স্বাস্থ্য বিষয়ক কনসালটেশন পরিচালনা করেছে।
শুধু অক্টোবরেই তিন হাজার আট’ শ ৬৫ জন নারী গর্ভ-সংক্রান্ত সেবা পেয়েছে। এদের মধ্যে তিন হাজার ৩০জন গর্ভ-পূর্ব, পাঁচ’শ ২৫জন গর্ভ-পরবর্তী ও তিন’শ ১০জন প্রসব সংক্রান্ত সেবা পেয়েছে।
ক্যাম্পগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের আগে কেবল দিনের বেলায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলতো। আর সৌরবিদ্যুৎ চালু করার পর এখন রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সৌরবিদ্যুৎ চালুর মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাবার পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
কক্সবাজারে আইএমও’র জরুরি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মরিয়ম আবদেলকরিম স্পিজকেরমান বলেন, আমাদের সেবার চাহিদা বাড়ার প্রেক্ষিতে সৌরদি্যুৎ
চালুর অর্থ হলো আমরা দিনের যে কোনো সময় স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও ওসুধ সেবা দিতে পারবো।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্য সেবার প্রয়োজন বিপুল। ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেক জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে।