শতবছর ধরে জ্বলছে ভারতের ঝাড়খণ্ডের ‘জ্বলন্ত কয়লা খনি’

ভারতে স্টিল তৈরির একমাত্র কয়লা খনি ঝাড়খন্ডের ধানবাদ শহরের ‘ঝারিয়া’। মাটির নিচে আগুন লেগে খনিটি একশ’ বছর ধরে জ্বলছে। মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে বিষাক্ত গ্যাস, তাপ আর ধোঁয়া। বৃষ্টি হলে আরও বিপর্যয় ঘটে। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে শ্বাসকষ্ট ও দূরারোগ্য নানা রোগে ভুগছেন এলাকাবাসী।

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে জ্বলন্ত কয়লা খনির কারণে জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে রয়েছে। এলাকাবাসীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে সরকার তাদের অন্য এলাকায় পুনর্বাসন করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। জীবিকার টানে অনেকেই আবার আগুনের মুখেই ফিরে আসছেন।
উনিশ শতকের শেষ দিকে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি ঝারিয়া কয়লা খনি খনন শুরু করে। এর ২৫ বছর পর ১৯১৬ সালে খনিতে আগুন লাগে। এর পর থেকে ঝারিয়া খনি জ্বলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডল বলেন, এই পরিবেশ খুবই ভয়াবহ, বৃষ্টি হলে বাতাস আরও বিষাক্ত হয়ে আমাদের সবার ঘরে ঢুকে পড়ে। এছাড়া ভয়াবহ ভূমিধসের আতঙ্কও এখন সবার মনে।
এলাকার মানুষ পুনর্বাসনের সাথে কর্মসস্থানের দাবি করে আসছে।
স্থানীয় অধিবাসী নতুন দেবী জানিয়েছেন, শুধু ২০০৪ সালের ভোটারদের ঘর দেয়া হচ্ছে। কিন্তু চাকরি ছাড়াই। তাছাড়া যারা ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮ সালের ভোটার তারা কোথায় যাবে? এছাড়া বৃদ্ধরা আছে, শিশুরা আছে, তাদের খাবার যোগান দেবে কে?
সরকারের ঝারিয়া পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও কিছু জটিলতার কথা বলছে।
ভারত ঝারিয়া পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রধান আফজার হাসনাইন বলেন, অনেক সময় পুনর্বাসনের জন্যে প্রয়োজনীয় দলিল এবং নাগরিকত্বে প্রমাণ না থাকায় তাদের পুনর্বাসন করা সম্ভব হচ্ছে না। বারবার তারিখ পরিবর্তনও পুনর্বাসনের কাজকে জটিল করে তুলেছে।