শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ
রফিকুল বাসার:
দুর্গম চরাঞ্চল থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম আর পার্বত্য অঞ্চল। দেশের পুরো ভূখণ্ড এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত।
মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে।
পটুয়াখালীর চর রাঙ্গাবালী, ভোলার কুকরিমুকরি ও মনপুরা, নিঝুমদ্বীপ, সন্দ্বীপ কোথাও বাদ নেই। বিভিন্ন দ্বীপে নদীর তলদেশ দিয়ে নেয়া হয়েছে সাবমেরিন কেবল। পদ্মার দুর্গম চর ও পার্বত্য অঞ্চলে দেয়া হয়েছে সৌর বিদ্যুৎ। এতে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বিদ্যুতায়ন হয়েছে।
বিদ্যুৎ পৌছে যাওয়ায় গ্রামে গ্রামে পরিবর্তন এসেছে মানুষের জীবন যাপনে। কর্মসংস্থান ও কর্মঘণ্টা দুটোই বেড়েছে। স্থানীয় এবং বিদেশী দুই বিনিয়োগই বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের গৌরব অর্জন করল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক যুগ আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেন। সেখানে লোডশেডিং মুক্ত করার ঘোষণা দেন। তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার স্বপ্নের কথা বলেন। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তব।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এনার্জি বাংলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ এই অর্জন করল। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সে অনুযায়ি কাজ করা হয়েছে।
গত ১৩ বছরে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে পাঁচগুণ। আমদানি করা, ক্যাভটিভ, নবায়নযোগ্যসহ এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। আরও ১৩ হাজার ২১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন।
বিদ্যুতের গ্রাহক চার কোটি ২১ হাজার। গ্রাহক ৪ কোটি ২১ লাখ। মোট সঞ্চালন লাইন ১৩ হাজার ২১৩ সার্কিট কিলোমিটার। গ্রিড উপকেন্দ্রর ক্ষমতা ৫৫ হাজার ৩০৭ এমভিএ। বিতরণ লাইন আছে ৬ লাখ ২১ হাজার কিলোমিটার। বিতরণ লস ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ (জুন ২০২১)। মাথাপিছু উৎপাদন ৫৬০ কিলোওয়াট আওয়ার। প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৮টি। আবাসিক সৌর ব্যবস্থা ৬০ লাখ।