শনির উপগ্রহে ১০১টি গরম ঝরণা
শনির ষষ্ঠতম উপগ্রহ এ্যানসিলেডাসে ১০১টি গরম ঝরণা ও জলীয় বাস্পের আভাস দিল ১৯৯৭ সালে পাঠানো নাসার মহাকাশযান ক্যাসিনি। এর আগে নাসা জানিয়েছিল যে. এ্যানসিলেডাসের গহ্বরে লুকিয়ে রয়েছে বিশাল সমুদ্র।
কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় খোঁজ মিলেছে আরও নতুন কিছু তথ্য। এই উপগ্রহের দক্ষিণ পোলে দেখা গেছে প্রায় ১০১টি জলীয় বাস্পের তপ্ত ঝরণা।
২০০৫ ক্যাসিনি প্রথম উষ্ণপ্রস্রবণের ছবি পাঠায়। ৩১০ মাইল চওড়া বাঘের ডোরা কাটা দাগের মতো দেখতে। কিন্তু সে সময় এটি বিজ্ঞানীদের কাছে বিতর্কের বিষয় ছিল।
অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করছেন উষ্ণপ্রস্রবণের কারন হল বাঘের ডোরা কাটা দুই দেয়ালে একে অপরের ঘষা লেগে তাপের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা উল্টো মত পোষন করছেন।
তাদের মতে উষ্ণ প্রস্রবনগুলির স্রোত একেবারে নিচে নেমে গিয়ে ধাক্কা মারে এ্যানসিলেডাসের অভ্যান্তরের বরফ স্তরে। বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় উপরে উঠে এসে শূণ্যে বিস্ফোরণ ঘটায়।
তবে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই তারা এ তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
ক্যাসিনি প্রমাণ করেছে, এ্যানসিলেডাসে রয়েছে বিশাল সমুদ্র, শক্তি, পরিপোষক পদার্থ, জৈব পদার্থ। বিজ্ঞানীর আশা করছেন শনির এই ছোট্ট উপগ্রহে বাসযোগ্য পরিবেশ মিলতে পারে।
মানুষের না হলেও মিলতে পারে আমাদের স্বপ্নে দেখা জাদুর মতো ভিন গ্রহের প্রাণীর।-ওয়েবসাইট