শর্তও বাস্তবায়ন করা হবে. রামপালও চালু থাকবে
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চলমান থাকবে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাব নিয়ে একটা পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা চালানো হবে। তার জন্য দুই বছর সময়ের প্রয়োজন।
আজ সোমবার বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিদ্যুতের মহাপরিচালক, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সুন্দরবন ও রামপাল বিষয়ে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের ৪১তম সভার সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গতকাল রোববার প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় যে, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে সুন্দরবন এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি কৌশলগত পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (এসইএ) করতে অনুরোধ করেছে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র। এই সমীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চলে কোনো বৃহদাকার শিল্প অবকাঠামো নির্মাণ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজও বন্ধ রাখতে হবে বলে জানানাে হয়।
তবে তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবন হুমকির সম্মুখীন এটা থেকে ইউনেস্কো সরে এসেছে। ইউনেস্কো বলেছে, রামপালের দ্বিতীয় প্রকল্প করা যাবে না, কিন্তু প্রথম প্রকল্পে বন্ধ করতে বলে নাই তারা। সরকারের দ্বিতীয় প্রকল্প না করার সিদ্ধান্তকেও তারা স্বাগত জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সমাজের উন্নয়নের জন্য বিতর্কের বহুকিছু আছে। রামপাল নিয়ে আর কোন বিতর্ক নয়, দেশের উন্নয়নের স্বার্থকে আগে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে, এ কারণে গণমাধ্যমকে গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে।
ইউনেস্কো রামপাল নিয়ে আপত্তি থেকে সরে এসেছে বলে সরকারের দাবি এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে তৌফিক ই ইলাহী বলেন, রামপালে যে প্রথম প্রকল্পটি হচ্ছে সেটার ব্যাপারে আপত্তি নেই। আর আমরা দ্বিতীয় প্রকল্পটি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সে জন্য ইউনেসকো আমাদের স্বাগত জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টা বলেন, রামপাল করার কারনে যদি পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় সেটা সমীক্ষা চালানো হবে। আর বিজ্ঞান থেমে নেই, আজকে যেটা হচ্ছে না কাল সেটা হচ্ছে। আর আমাদের টেকসই উন্নয়নের জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করা দরকার।
তৌফিক ই ইলাহী বলেন, সুন্দরবন আমাদের যেমন রক্ষা করতে হবে, পরিবেশের যেমন লালন করতে হবে, তেমনি উন্নয়নকেও লালন করতে হবে। আমরাও চাই না সুন্দর বনের কোন ক্ষতি সাধন হোক। সুন্দরবনকে রক্ষা করেই আমরা প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে চাই।
তৌফিক বলেন, এনভায়রোনমেন্টাল এসেসমেন্ট দুই বছরের নিচে করা সম্ভব নয়, আমরাও চাই না অপরিকল্পিতভাবে কোন কিছু করতে। আমরা পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে চাই।