শেভরনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রুল
শেভরন বাংলাদেশের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের কোম্পানিটির লভ্যাংশ না দেয়ায় কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিদর্শক ও প্রধান কারখানা পরিদর্শক এবং শেভরনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
শ্রম আইন- ২০০৬ অনুযায়ী কোনো কোম্পানির লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের মধ্যে বন্টন করতে হবে। কিন্তু শেভরন ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত কোনো লভ্যাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকদের দেয়নি। বরং তারা মুনাফা বিদেশে প্রত্যাবাসিত করছে। এরই মধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে পাওনা পরিশোধে শেভরনকে চিঠি দিলেও তা আমলে নেয়নি শেভরন।
সম্প্রতি শেভরন বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে চলে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ কারণে পাওনা চেয়ে কোম্পানির ঢাকা ও সিলেট কার্যালয়ে কর্মরত ৫৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিক হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর সাদাত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।