শ্যালা নদী থেকে মৃত দুটি ভোঁদড় উদ্ধার
সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ফার্নেস অয়েলবাহী ট্যাংকার ডুবির নয় দিন পর ওই নদী থেকেই থেকে মৃত ভোঁদড় দুটি উদ্ধার করা হয়।
বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. জাহিদুল কবীর বলেন, “সুন্দরবনে তেলবাহী ট্যাংকার ডুবির পর আমাদের বিভাগ বণ্যপ্রাণীর ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খানকে নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর আমাদের একটি দল সুন্দরবনে যায়।
“সেখানে গিয়ে শেলা নদীর আন্ধারমানিক এলাকায় নদীর পানিতে ভাসতে দেখে বনকর্মীরা ভোঁদর দুটির মৃতদেহ তুলে আনে। ভোঁদড় দুটির শরীরে র্ফানেস অয়েল লেগে ছিল। উদ্ধার হওয়ার অন্তত দুই তিন দিন আগে মারা গিয়েছিল।”
বণ্যপ্রাণী দুটির মৃত্যুর কারণ জানতে সেগুলোর ময়নাতদন্ত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি বিভাগের চিকিৎসক (ভ্যাটেনারি সার্জন) সৈয়দ হোসেন শুক্রবার ওই প্রাণী দুটির ময়নাতদন্ত করেন। তেল মিশ্রিত পানি খেয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি প্রতিবেদন দিয়েছেন।”
বন কর্মকর্তা জাহিদুল বলেন, “নদীর মাছ শিকার করে জীবন ধারণকারী প্রাপ্ত বয়স্ক ভোঁদড় দুটি যখন মাছ শিকার করছিল তখন ওই নদীর পানিতে তেল ভাসছিল। ওই তেল মিশ্রিত মাছ ও পানি খেয়ে বণ্যপ্রাণী দুটির মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসক নিশ্চিত হয়েছেন।”
একসময় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোতে ভোঁদড়ের দেখা মিললেও এখন শুধু সুন্দরবনেই এর দেখা মেলে।
বাংলাদেশে এই প্রাণীটি মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) তালিকায় রয়েছে।