সংযোগ পদ্ধতি সহজ করে দ্রুত বিদ্যুৎ দেয়ার নির্দেশ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সংযোগ পদ্ধতি সহজ করে দ্রুত বিদ্যুৎ দিন। আবাসিক সংযোগ এক দিনের মধ্যে এবং অন্য সংযোগ দ্রুততর সময়ে দিতে হবে। শিল্প সংযোগ ২৮ দিনে দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা আরো কম সময়ে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কাগজ-পাতি চেয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করবেন না।
আজ শনিবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুাতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) ব্রিগেডিয়ার সবিহ্ উদ্দিন আহমেদ হলে অনুষ্ঠিত জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিআরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবিশ্বাস নিয়ে শতভাগ বিদ্যুতায়নের সিংহভাগ কাজ আরইবির মাধ্যমেই করা হচ্ছে। এ কাজে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এমনভাবে পরিকল্পনা করতে হবে যাতে মানুষ ‘আলো দাতা’ হিসেবে আরইবির কর্মকর্তাদের সম্মান করে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী আরইবির সেরা জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে মাণিকগঞ্জ-১ এর জেনারেল ম্যানেজার ওবায়দুর রহমান এবং সেরা প্রকল্প পরিচালক হিসেবে আব্দুর রহিম মলিকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সম্মেলনে সংযোগ সহজিকরণ, কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন, অভিযোগ পদ্ধতি, সেবা বাড়ানো, সিস্টেম লস কমানো, লোড ব্যাবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিদ্যুতায়ন বোর্ড ৭৯ টি সমিতির মাধ্যমে ১ কোটি ৭৮ লাখ গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছে। শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে হলে ২ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহক সংযোগ দিতে হবে। ডিসেম্বার ২০১৮ এর ভিতর এ লক্ষ অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩১ টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে।
আরইবি জানায়, ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ সম্মেলন চলবে। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-সহজ করবো পদ্ধতি, দ্রুত দিব সংযোগ। সম্মেলনে আরইবির মাঠ পর্যায়ের নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, সমিতিগুলোর সভাপতি, জেনারেল ম্যানেজার এবং আরইবির বোর্ডের পরিচালক ও কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।
মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেন, এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ৬টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন। বর্তমানে আরো ২৫টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ মোট ৪৬০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য ৩৬ হাজার ৯১২ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে ১৬টি প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে এবং আরও ৭টি প্রকল্প বিবেচনাধীন আছে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি ৭৮ লাখ। জুন মাসের মধ্যে আরো নতুন ২২ লাখ পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনা হবে। এতে গ্রাহক সংখ্যা হবে ২ কোটি।