সংরক্ষিত বনে সঞ্চালন লাইন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি
চট্টগ্রাম জেলার একমাত্র প্রাকৃতিক ও সংরক্ষিত বন রামগড়-সীতাকুণ্ড বনভূমির মধ্য দিয়ে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এতে ৬৩ হেক্টর বনভূমির গাছ কাটা পড়বে। সরকারের এ প্রকল্পে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বুধবার সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে কমিটি সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ এ উদ্বেগ জানান।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সীতাকুণ্ডে সংরক্ষিত বনের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের ফলে বিপুল সংখ্যক গাছ কাটা পড়বে। এতে বনের বিরাট ক্ষতি হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প নিতে হবে, তবে তার আগে জাতীয় স্বার্থের কথাটিও বিবেচনায় নিতে হবে। তাই এ ধরনের প্রকল্প নেয়ার আগে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে নেয়া উচিত বলে তিনি অভিমত দেন।
একইসঙ্গে সরকারের এ প্রকল্পটি বিকল্প পথে নেয়া যায় কি-না বিবেচনার জন্য সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানায়, সংরক্ষিত ওই বনের মধ্যে রয়েছে দেশের প্রায় বিলুপ্ত হওয়া সবচেয়ে দীর্ঘতম গাছ। বন বিভাগ শুধু বৃক্ষসম্পদের যে আর্থিক মূল্য হিসাব করেছে, তার পরিমাণ ৭৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ বনভূমির আয়তন প্রায় ৭২ বর্গকিলোমিটার। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)এই মাতারবাড়ী-মদনাঘাট-মেঘনাঘাট ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনটি স্থাপন করতে যাচ্ছে।