সংসদে বাজেট পাস
জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট পাস হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধরীর সভাপতিত্বে দুপুর দেড়টায় অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে আগামী অর্থবছরের জন্য তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়।
তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চার হাজার ১৪৭ কোটি টাকা যোগ করলে এই বাজেটের আকার দাঁড়ায় তিন লাখ ৪৪ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা।
শুক্রবার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের শুরুতেই মঞ্জুরি দাবিতে আলোচনা করার কথা জানান। বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা এসব দাবিতে আলোচনা করেন।
এবারের বাজেটে বিশাল ব্যয়ের পরিকল্পনায় আয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। আর বিদেশি অনুদান হিসাবে ৫ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা পাওয়ার আশায় আছেন মুহিত।
এই হিসেবে বাজেট ঘাটতি থাকছে ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা।
রাজস্ব আয়ের বড় অংশের জোগান আসবে আয়কর, শুল্ক ও মূসক থেকে। এনবিআরের আয় ধরা হয়েছে দুই লাখ তিন হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আসবে সাত হাজার ২৫০ কোটি টাকা। আর করব্যতীত প্রাপ্তি ৩২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে, ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।
নির্দিষ্টকরণ বিল পাস
আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৫৩ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে।
এর মধ্যে, সাংসদদের ভোটে গৃহীত অর্থের পরিমাণ তিন লাখ ১১ হাজার ৪১০ কোটি ১৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা এবং সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় এক লাখ ৫৩ হাজার ১৪৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
সংযুক্ত তহবিলের দায়ের মধ্যে ট্রেজারি বিলের দায় পরিশোধ, হাই কোর্টের বিচারপতি ও মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বেতনও অন্তর্ভুক্ত।
মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাব
আগামী অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খাতের ৫৬টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সাংসদরা ৪২০টি বিভিন্ন ধরনের ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন।
ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো ছিল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ধর্ম, স্থানীয় সরকার বিভাগ এব ত্রাণের মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে। বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সাংসদদের আলোচনার পর সবগুলো প্রস্তাব কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।