পিজিসিবি’র ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লি. (পিজিসিবি) শেয়ারহোলান্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা করেছে।
শনিবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের ‘মুক্তি হল’-এ কোম্পানির ১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।
সাধারন সভায় সভাপতিত্ব ও কার্যক্রম পরিচালনা করেন পিজিসিবি’র চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোম্পানী সচিব মো. আশরাফ হোসেন। সভায় সমাপ্ত বছরের কার্যক্রম, কোম্পানীর বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন পিজিসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আল বেরুনী।
পিজিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। এ খাতের উন্নয়নের জন্য সঞ্চালন ব্যবস্থা সমৃদ্ধ করতে পিজিসিবির বিনিয়োগ আরও বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কোম্পানীর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) এবং মুনাফা উভয়ই বেড়েছে। গতবছরে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯০ পয়সা। কোম্পানী মুনাফা করেছে প্রায় ৪২ কোটি টাকা। শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ১২ পয়সা।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোম্পানির কর্মপরিধি দিন দিন বাড়ানো হচ্ছে। পূর্বের তুলনায় বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পরিমাণও বেড়েছে। হুইলিং চার্জ (সঞ্চালন মূল্যহার) পাঁচ পয়সা বৃদ্ধি করায় আগামীতে মুনাফা আরও বাড়বে। অদূর ভবিষ্যতে কোম্পানীর অবস্থা ও ভিত্তি আরও মজবুত হবে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এই কোম্পানীর ৭৬ দশমিক ২৫ শতাংশের মালিক। অবশিষ্ট ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ মালিকানা সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের।
সভায় পরিচালনা পর্ষদের অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, আবু আলম চৌধুরী, ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মেজর জেনারেল মঈন উদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার এস.এম. খাবীরুজ্জামান, শেখ মো. আবদুল আহাদ, খন্দকার মাকসুদুল হাসান, ব্যারিষ্টার এম. এনামুল কবির ইমন, অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশীদ ও এ.কে.এম. হামিদ উপস্থিত ছিলেন।