বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সততার সাথে গ্রাহকদের সেবা করুণ। বিদ্যুৎ বিভাগের কাজই হচ্ছে নাগরিকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দেয়া। এ সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান করা। কোম্পানিগুলো লাভজনক না লোকসানি সে বিবচনা করার প্রয়োজন নেই—বিষয়টি সরকার দেখবে।
আজ শনিবার বিদ্যুৎ ভবনে ‘সেক্টর লিডারস ওয়ার্কশপ ২০১৭’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও কাজ-কর্মে উজ্জ্বীবিত করার লক্ষ নিয়েই এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। নতুন প্রকৌশলীদের হাতে-কলমে আরো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু করা গেলে ভালো হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতার প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে আমাদের কিছু করার না থাকলেও সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এলএনজি নিয়ে প্রশিক্ষণ বাড়ানো দরকার।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ ও বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় বলা হয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ ও সঞ্চালনের লক্ষ অর্জনের জন্য ২০১৭-২০২১ সালের মধ্যে ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২-২০৩১ সালের মধ্যে আরো ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৩২-২০৪১ সালের মধ্যে আরো অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
দুদিন ব্যাপী কর্মশালায় ২৫টি মন্ত্রণালয়ের ২০০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
