সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে মডেল পিএসসি অনুমোদন
বিডিনিউজ:
গভীর ও অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও অংশীদারত্ব নিয়ে চুক্তির খসড়া নীতিমালা (মডেল পিএসসি) অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার কমিটির বৈঠকে ‘বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রডাকশন শেয়ারিং কনট্রাক্ট’ শীর্ষক এ নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়।
এখন এ নীতিমালা মেনে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও আবিষ্কৃত খনিজ সম্পদের অংশীদারত্ব চূড়ান্ত করে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে কাজ দেওয়া যাবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রণীত এই নীতিমালা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অনুমোদন পেয়ে এসেছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, “দেশের উত্তরোত্তর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটানোর নিমিত্তে গভীর ও অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে প্রণীত ‘বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রডাকশন শেয়ারিং কনট্রাক্ট পিএসসি-২০২৩’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তবে সেখানে কী কী পরিবর্তন এসেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি মাহবুব খান।
এ দিন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১৪টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জন্য বিভিন্ন দেশের ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি থেকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এই তেল আনতে প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ ১২ হাজার ৮৫০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা খরচ হবে।
এসব জ্বালানি সরবরাহ করবে থাইল্যান্ডের পিটিটিটি, আরব আমিরাতের এনক, চীনের পেট্রোচায়না, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল ও চীনের ইউনিপ্যাক।
বৈঠকে টিসিবির জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৭৫ কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর নাবা ফুড প্রতিকেজি ৮৩ টাকা ৫১ পয়সায় এই ডাল সরবরাহ করবে।
আরেকটি ক্রয় প্রস্তাবে টিসিবির জন্য মেঘনা এডিবল অয়েলের কাছ থেকে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ১৩১ কোটি ১৬ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতি লিটারের দাম পড়ছে ১৫৮ টাকা ৬৭ পয়সা।
বৈঠকে তাৎক্ষণিক প্রস্তাবে একাধিক দেশীয় সরবরাহকারীর কাছ থেকে ৭৫ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান তেল ১১৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।