সমুদ্র সম্পদ ও সুন্দরবন রক্ষায় নীতি করার দাবি

প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে জাতীয় নীতিমালা করার দাবি জানিয়েছে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। তারা সুন্দরবন রক্ষাসহ সাত দফা দাবিতে মাসব্যাপি নানা কর্মসূচি ঘোষনা করেছে।
শনিবার রাজধানীর মুক্তি ভবনে জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘সমুদ্র সম্পদ, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও সুন্দরবন: জনগণের স্বার্থ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
মাসব্যাপি কর্মসূচির মধ্যে আগামী ১১ অগাস্ট খুলনায় আঞ্চলিক কনভেনশন, ১৮-২০ আগস্ট খুলনা অঞ্চলে সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা, ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ী দিবস ও ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় কনভেনশন করার ঘোষনা দেয়া হয়েছে। সমুদ্রসম্পদ বিদেশি কোকম্পানির হাতে তুলে দেয়ার বিরোধীতা করে সংগঠনটি এ কাজের জন্য দেশীয় কোম্পানি বাপেক্সক শক্তিশালী করা আহ্বান জানান।
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ, সমুদ্র বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রমজুল হক, প্রাণী বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবুল বাশার, জ্বালানী বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী বিডি রহমতউল্লাহ, গবেষক অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা ও সিপিবি সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ অন্যরা।
প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, সমুদ্র সীমা নিষ্পত্তি আমাদের আকাংখার অনেকাংশ পূরণ হয়েছে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, সম্পদ যত বাড়ে, এর ঝুঁঁকি ততই বাড়ে। আমাদের দেশের দুটি বড় রাজনৈতিক দল একটি বিষয়ে বেশ ঐক্যমতে থাকে, আর তা হলো দেশের সম্পদ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেয়া। তারা কখনই দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে না। তিনি বলেন, গ্যাসসহ সমুদ্র ও স্থলভাগের সব সম্পদ জনগণের অধিকার। এগুলো মানুষের স্বার্থে ব্যবহার করতে হবে। এ জন্য জনস্বার্থে নীতিমালা করা জরুরী।
অধ্যাপক রমজুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক যত নীতিমালা আছে তাতে পরিবেশ রক্ষার কথা বলা আছে। তাই পরিবেশ প্রকৃতি ঠিক রেখে সমুদ্রের সম্পদ আহরণ করতে হবে। তার আগে সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় এখনি পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিবেশ প্রকৃতি ঠিক রেখে সমুদ্রের সম্পদ আহরণ করতে হবে। তবে আগে সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ ও তার ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা জরুরী। আবুল বাশার বলেন, সুন্দরবন এমন একটি বন যে নিজেই নিজের সংরক্ষণ করতে পারে, যদি মানুষ হস্তক্ষেপ না করে। বেশি হস্তক্ষেপ করতে গেলেই তা ধ্বংস হয়ে যাবে। অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা বলেন, রামপাল নিয়ে সরকার একতরফা প্রচার করছে। ওই অঞ্চলের মানুষ ও বিশেষজ্ঞদের কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। এটা গণতন্ত্রের নমুনা হতে পারে না।