গ্যাস ঘাটতির অর্ধেক চট্টগ্রামে
গ্যাস ঘাটতির অর্ধেক চট্টগ্রামে। দেশে প্রতিদিন ঘাটতি ৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। এরমধ্যে চট্টগ্রামেই ৩০ কোটি ঘনফুট। চট্টগ্রামের জ্বালানি সংকট সহসা কাটছে না। শনিবার বিদ্যুৎ ভবনে চট্টগ্রাম জার্নালিষ্ট ফোরাম আয়োজিত ‘চট্টগ্রামের শিল্পায়ন: জ্বালানির প্রাপ্যতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা একথা বলেন।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করার প্রতিশ্রুত দেয়া হয়েছে। কিন্তু এলএনজি আমদানি না হলে গ্যাস সমস্যা মিটবে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ স¤ক্সদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। অন্যদের মধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ম. তামিম, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য সেলিম মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন, ক্যাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ফোরামের সভাপতি দৈনিক সকালের খবরের প্রধান প্রতিবেদক সাইফ ইসলাম দিলাল।
নসরুল হামিদ বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে বিদ্যুতের সমাধান হবে। তবে গ্যাস সংকট কাটতে দুই থেকে তিন বছর লাগবে। যদি এলএনজি আমদানি করা যায়, নতুন ক্ষেত্র থেকে গ্যাস পাওয়া যায় তাহলে আরও কম সময়ে সমাধান হবে। তিনি বলেন, সংকট মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্কপ্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এইসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আড়াই থেতে তিন বছর সময় প্রয়োজন হবে। দক্ষ মানব স¤ক্সদের অভাব আছে। সেজন্যও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেরি হয়।
অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট মেটাতে এখন পর্যন্ত আশাব্যঞ্জক সমাধান পাওয়া যায়নি। খুব শিগগির এলএনজি আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এলএনজি আসার আগ পর্যন্ত আগামী দুই থেকে তিন বছর চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট সমাধানের উপায় দেখছি না। তিনি বলেন, কুতুবদিয়াতে যে ছোট একটি ক্ষেত্র আছে সেখানে কূপ খনন করে গ্যাস উত্তোলন করা যেতে পারে। এই গ্যাসের দাম বেশি হলেও তা এলএনজির তুলনায় কম হবে। তিনি বলেন, অনেক দিন থেকে বলা হচ্ছে এসব প্রকল্কপ্প চলে আসবে কিন্তু কবে নাগাদ আসবে তা এখনও পরিস্কার নয়।
সেলিম মাহমুদ বলেন, অতীতের সরকারের জন্য আজকে চট্টগ্রামের জ্বালানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। মিয়ানমার ওই সময় বাংলাদেশের কাছে গ্যাস বিত্রিক্র করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকারের ভুলের কারণে চীন মিয়ানমারের সব গ্যাস কিনে নিয়েছে। এতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে গেছে।