সাগরের সম্পদ আহরনে ‌’ব্লু ইকোনমি সেলে’র যাত্রা শুরু

‌’ব্লু ইকোনমি সেল’র যাত্রা শুরু। বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণ ও সমন্বয়ের কাজ করবে এই সেল। জ্বালানি, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, মৎস্য, পানি,  পরিবেশ, বিজ্ঞান, নৌ-পরিবহন, শিল্প ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমুদ্রে সম্পদ আহরনে কাজ করে। এই মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে গঠন করা হয়েছে এই ইকোনমি সেল।
বৃহস্পতিবার এই সেলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ পেট্রোসেন্টারে ব্লু  ইকোনমি সেলের কার্যালয় উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী, বিপিসির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. মোমিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফায়জুল­াহ, ব্লু ইকোনমি সেলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী  উপস্থিত ছিলেন।
ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ সমাধানের পর সমুদ্র সম্পদ আহরনের পুরোপুরি অধিকার পেয়েছে বাংলাদেশ। জ্বালানি বিভাগের অধীনে এই সেল কাজ করবে। সেলে আপাতত ২৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও জনবল নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাগরে অনেক সম্পদ আছে। কিন্তু কি পরিমাণ আছে তা জানি না। এজন্য জরিপ করা দরকার। জরিপের জন্য প্রয়োজন জাহাজ। এই জাহাজ কেনার বিষয়ে ব­ু ইকোনমি সেলকে কাজ করতে হবে। সময় নির্ধারন করে সেই সময়ের মধ্যে জাহাজটি কিনতে হবে। এজন্য যথাযথ জাহাজ কেনা এবং নাবিক নির্বাচন জরুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী সরকারের জন্য আগামী দুই বছর খূবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগেই কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হতে হবে। এজন্য দ্রুত গতিতে সব বাস্তবায়ন করতে হবে।
জ্বালানি সচিব বলেন, সাগরের যে বিশালতা সে অনুযায়ি ব্লু ইকোনমি সেল খুবই ছোট। কাজ শূরু হওয়ার পর একে শেষ পর্যন্ত  বিভাগই করতে হতে পারে। তিনি বলেন, সাগরের অজানা তথ্য জানতে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। এই কাজের জন্য নৌবাহিনীর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সেলে পেট্রোবাংলা, ভূতাত্তি¡ক জরিপ অধিদফতর, নৌবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে একসাথে কাজ করবে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, সমুদ্রে প্রচুর সম্পদ আছে। এই সম্পদ আহরণ এবং ব্যবহারের জন্য ব্লু­ ইকোনমি  সেলের গুরুত্ব অনেক। সাগরের সম্পদ আহরণের জন্য নানা দিক বিবেচনা করতে হবে। ব্লু­ ইকোনমি সেল সব কিছু সমন্বয় করবে।
বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, পৃথিবীতে জলভাগের পরিমাণ যেমন বেশি তেমনি তার সম্পদের পরিমাণও বেশি। বিশ্বের অন্যদেশগুলো এই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশকেও এগিয়ে আসতে হবে। ব্লু­ ইকোনমি সেল এই কাজের কেবল শুরু। এই সেল অন্য মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।

ব্লু ইকোনোমি সেলের প্রধান বলেন, সাগরের সম্পদ আহরণে  জড়িত সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে  এই সেল সমন্বয়ের কাজ করবে।