সাগরের ১০, ১১ নম্বর ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে তিন কোম্পানির দরপ্রস্তাব

গভীর সাগরের ১০ ও ১১ নম্বর ব্লক ও অগভীর সাগরের ১০ নম্বর ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহ দেখিয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক তেল গ্যাস কোম্পানি দরপত্র জমা দিয়েছে।
বুধবার কারওয়ান বাজারে অবস্থিত পেট্রোসেন্টারে ওই তিন ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের আগ্রহ দেখিয়ে নরওয়েভিত্তিক স্টেটঅয়েল, দাইউ করপোরেশন এবং ক্রিশ এনার্জি দরপ্রস্তাব জমা দেয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দরপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল। এর আগে পেট্রোবাংলা ওই দুই ব্লকে কাজের জন্য আগ্রহপত্র (এওই) আহ্বান করে।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, তিনটি কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে। এর চেয়ে বেশি কোম্পানি দরপত্র জমা দেবে আশা করিনি। তিনি বলেন, দরপত্র যাচাই বাছাই করতে যে কমিটি করা হয়েছে তারা দরপ্রস্তাব খুলে দেখবে। এরপর সব ঠিক থাকলে চুক্তি করা হবে।
২০১১ সালের ১৬ জুন সাগরের ১০ ও ১১ নম্বর ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) করে পেট্রোবাংলা। এরপর প্রায় দুইবছর এই ব্লকগুলোতে কোনো কাজ না করে বসেছিল তারা। এরপর গত বছর পিএসসিতে গ্যাসের যে দাম নির্ধারণ করা আছে তা সংশোধন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি জানায় তারা। গ্যাসের দাম না বাড়ালে ব্লক দু’টিতে কাজ করা সম্ভব না বলে জানিয়ে দেয় কনোকো ফিলিপস।
ওই সময়ে কনোকো পেট্রোবাংলাকে জানায়, দুটি ব্লকে অনুসন্ধান চালিয়ে ১১ নম্বর ব্লকের একটি অংশে গ্যাস স্তর খুঁজে পেয়েছে তারা। এতে চার ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের মজুদ আছে বলে ধারণা দেয় কোম্পানি। তবে এটিকে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য মনে হয়নি কনোকোর। দ্বিমাত্রিক জরিপে প্রাপ্ত গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনা মাত্র ২০ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছিল তারা।
পিএসসি অনুযায়ী, ব্লক ১০ ও ১১ নম্বরে প্রথম ধাপের কাজ শেষ করেছিল কনোকো ফিলিপস। দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ করা গেলে ওই দুই ব্লকে গ্যাস আছে কিনা তা জানা যেতো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কনোকো চলে যাওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি।