সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তেলের দাম: আগামী তিন বছর ঊর্দ্ধমুখি থাকার পূর্বাভাস

ইবি ডেস্ক:
বিদ্যুতের বৈশ্বিক চাহিদা বাড়ায় আগামী তিন বছর জ্বালানির বাজার অস্থিরতার মধ্যে দিয়েই যাবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির পরিবর্তন না হলে ভোক্তা দেশগুলোর অর্থনৈতিক বিপর্যয় হবে।
আর এখন গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে তেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অর্থাৎ ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি হয়েছে ৮৭ দশমিক ৮৫ ডলার। একই সঙ্গে ইউ.এস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ফিউচারের দাম ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৫ দশমিক ৫৬ ডলার।
২০১৪ সালের অক্টোবরের পর এটা সর্বোচ্চ।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) এর তথ্য অনুযায়ি, গত বছর বিদ্যুতের বৈশ্বিক চাহিদা ৬ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে বিদ্যুতের মোট চাহিদা বৃদ্ধির অর্ধেকই চীনে। ২০২১ সালে দেশটিতে বিদ্যুতের চাহিদা ১০ শতাংশ বেড়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে পর্যাপ্ত কয়লা সরবরাহ না হওয়ায় গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে চীন ও ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটে। ফলে এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিতে ছিল ভাটা।
গতকয়েকদিন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশ চাঙ্গা। গত এক সপ্তাহে তেলের দামে বড় উত্থান হয়েছে। বছরের প্রথম সপ্তাহের মতো দ্বিতীয় সপ্তাহেও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় উত্থান হয়েছে। এতে ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর অর্থাৎ সাত বছর তিন মাস পর সর্বোচ্চ দাম হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম।
এমাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ৭ শতাংশ বাড়ে। আর পরিশোধিত তেলের দাম বাড়ে সাড়ে ৫ শতাংশের বেশি।
চলতি বছরের প্রথম দুই সপ্তাহেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ১২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং হিটিং অয়েলের দাম ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়েছে।
করোনার ধকল কাটিয়ে যখন অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে তখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। তেলের চাহিদা বাড়ছে কিন্তু সে অনুযায়ি সরবরাহ হচ্ছে না। সাথে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধের উত্তেজনা দাম যে কমার সম্ভাবনা ছিল তা বিলিন হয়ে গেছে। গতমাসেও যে দাম কমাতির দিকে ছিল তা এখন আরও বেড়েছে। এমন কী ব্যারেল প্রতি একশ ডলারে পৌঁছতে পারে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।