সাবমেরিনের মাধ্যমে প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু: সন্দ্বীপ পেল আলো

সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলো সন্দ্বীপে। পরীক্ষামূলকভাবে এই সরবরাহ শুরু করা হয়েছে। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাংলাদেশে এটাই প্রথম।
পিডিবি সূত্র জানায়, বৃহষ্পতিবার পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এখন ক্যাবলের মাধ্যমে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হবে। পরে এই সঞ্চালন বাড়ানো হবে। এখানে দুটো ক্যাবল বসানো হয়েছে।প্রতিটা দিয়ে ৩০ মেগাওয়াট করে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা যাবে। ৫০ বছর এই ক্যাবল থাকবে।
পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য মঙ্গলবার ও বুধবার পরীক্ষা করা হয়। সীতাকুণ্ড উপকেন্দ্র থেকে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সন্দ্বীপ চ্যানেলে নদীর তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ সন্দ্বীপের বাউরিয়া ট্রান্সমিটারে দেয়া হয়।
সন্দ্বীপে দুই হাজার ৩শ’ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এক বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ২০ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ দেয়া হবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৪৪ কোটি টাকা খরচ করে এই ক্যাবল স্থাপন করেছে। বিদ্যুতের পাশাপাশি ব্রডব্যান্ড লাইনের মাধ্যমে যাবে ইন্টারনেটও। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেড টি টি এটা করেছে।

সমুদ্রের তলদেশে সন্দ্বীপ চ্যানেলে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ থেকে ২০ ফুট গভীরতায় দুটো উচ্চ ক্ষমতার ক্যাবল নেটওয়ার্ক সমুদ্র তীরবর্তী চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অংশে ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে যুক্ত করা হয়েছে। উপকূল থেকে ১৬ কিলোমিটারের দুটো ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে এ সংযোগ দেয়া হয়।

সন্দ্বীপে ১৬ ও সীতাকুণ্ডে ১০ কিলোমিটার হেডলাইন স্থাপন করা হচ্ছে। ৩৩ হাজার ভোল্টের দুটো ক্যাবল বসানো হয়েছে। প্রতি ক্যাবলে ৩টা কোর ও একটা অপটিক্যাল ফাইবার আছে।

বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য উপকেন্দ্র ও দুটো ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে। এক হাজার ৮০০টা পোল বসানো হচ্ছে। এরমধ্যে এক হাজার ৫০০টা পোল বসানো হয়েছে।

সন্দ্বীপে এতদিন দুই হাজার গ্রাহককে জেনারেটরের মাধ্যমে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ দেয়া হতো। সরবরাহ করা হয় গড়ে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। জাতীয় গ্রিডের কোন বিদ্যুৎ পৌছানোর সুযোগ ছিল না।
৭৬২ দশমিক ৪২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সন্দ্বীপ উপজেলায় দুই লাখ ৭৮ হাজার ৬০৫জন মানুষের বসবাস।