সামিটের টার্মিনাল অচল: খোলা বাজারের ৪ কার্গো এলএনজি আমদানি বাতিল
নিজস্ব প্রতিবেদক/ রয়টার্স:
খোলা বাজার থেকে চার কার্গো তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি আদেশ বাতিল করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় দেশের মহেশখালীর দুটি এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে সামিট পরিচালিত টার্মিনালটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে কার্গো খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না।
মঙ্গলবার (১৮ই জুন) এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
টার্মিনাল বিভ্রাটের কারণে মে মাসের শেষ থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত নির্ধারিত চারটি খোলা বাজারের কার্গো বাতিল করেছে পেট্রোবাংলা।
মে থেকে জুন মাসের মধ্যে গানভর ও কাতারএনার্জির এই এলএনজি সরবরাহ করার কথা ছিল।
রয়টার্স জানিয়েছে, সামিট এলএনজি এবং কাতারএনার্জির কাছে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধ করলেও তারা সাড়া দেয়নি। গানভর মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে এলএনজি সরবরাহে জরুরি সংরক্ষণের ঘোষণা করার কথা পেট্রোবাংলাকে জানিয়েছে সামিট।
মে মাসের শেষের দিকে সামিট ভাসমান টার্মিনাল এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। সামিট পরে জানায়, ভাসমান টার্মিনাল মেরামতের জন্য সিঙ্গাপুর বা মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশের দুটি ভাসমান এলএনজি আমদানি টার্মিনালের মধ্যে সামিটের একটি। এটির ক্ষমতা প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এ টার্মিনালটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়।
অ্যানালিটিক্স ফার্ম কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বার্ষিক এলএনজি আমদানি বেড়েছে। গত বছর ৫২ কোটি মেট্রিক টন জ্বালানি আমদানি করা হয়।
এ বছর এখন পর্যন্ত ২৬ কোটি মেট্রিক টন এলএনজি আমদানি করা হয়েছে।
মে মাসে ছয় লাখ মেট্রিক টন আনা হয় যা মাসিক চালানের রেকর্ড। এর আগে কখনো এক মাসে এত পরিমাণ আমদানি করা হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে গ্যাসের ঘাটতি আরও একটু বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। বিদ্যুৎ উৎপাদনেও এর প্রভাব পড়বে।