‘সামিট এলএনজি’ জাহাজ থেকে জাহাজে স্থানান্তর
‘সামিট এলএনজি’-র প্রথম জাহাজ-থেকে-জাহাজে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) স্থানান্তর সফলভাবে শেষ হয়েছে।
‘সামিট এলএনজি’ ২৩শে মে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৫৯মিনিটে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালির উপকূল থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে জাহাজ-থেকে-জাহাজে (এসটিএস) এলএনজি স্থানান্তর প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষ করেছে। সামিটের এফএসআরইউ – ‘সামিট এলএনজি’ ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল থেকে এক লাখ ৫৯ হাজার ঘনমিটার এলএনজি নিয়ে আসে। এলএনজি বহনকারি জাহাজ – ‘ক্রিয়োল স্পিরিট’ আলজেরিয়ার বেথেইউয়া থেকে এই এলএনজি বহন করে নিয়ে এসেছে। পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) সফলভাবে এই স্থানান্তরের প্রত্যায়ন করে। পরবর্তী এসটিএস স্থানান্তর আগামীমাসের প্রথম দিকে নির্ধারণ করা হয়েছে।
সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প, এলএনজি প্রকল্প শেষ করে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রমাণ করবার সুযোগের জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। সামিটের প্রত্যেক প্রকল্প বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং বাস্তবায়নের সক্ষমতার প্রমাণ।
পেট্রোবাংলা এবং আরপিজিসিএল এর চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন বলেন, সামিটের জাহাজ-থেকে-জাহাজে এলএনজি স্থানান্তর প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষ হওয়ায় আমরা অত্যন্ত গর্বিত।
সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানী, সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এবং সামিট – মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামের মালিকানাধীন।‘সামিট এলএনজি’ ২৯ শে এপ্রিল ২০১৯ইং বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ শুরু করে। ‘সামিট এলএনজি’ কাতার থেকে এলএনজি বহন করে নিয়ে এসেছিল এবং সমুদ্রের তলদেশের পাইপলাইনের দ্বারা এলএনজি পুনরায় রুপান্তর করে জাতীয় গ্যাস গ্রীডে সরবরাহ শুরু করে।