সামিট ও জাপানের জিরা’র মধ্যে জ্বালানি চুক্তি
সমঝোতা অনুযায়ী, সামিট এবং জিরা-এশিয়া কক্সবাজারের মাতারবাড়ি এলাকায় বড় জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প উন্নয়ন করবে। যার আওতায় রয়েছে বার্ষিক দুই কোটি টন মালামাল সরবরাহের ক্ষমতা। সামিট গ্রুপের পরিচালক ফয়সাল খান এবং জিরা এশিয়ার সিইও তোসিরো কুদামা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতায় সই করেন। সামিট গ্রুপের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিতি ছিলেন। অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক এবং মিডি (মহেশখালি-মাতারবাড়ি ইনটিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রকচার ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়াটিভ) এর চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।
এই অবকাঠামোর আওতায় কার্গো এবং প্রাথমিক জ্বালানির বিভিন্ন টার্মিনাল উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসা জোরদার করবে। এর কাজ আগামী দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে। এতে প্রায় ৫০কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে।
সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, জিরা-এশিয়ার সাথে সামিটের এই প্রকল্প আগামী বছরগুলোতে উন্নত সাপ্লাই চেইন এবং হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের বহু বিলিয়ন ডলার সঞ্চয়ের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত করবে, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তার প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
জিরা-এশিয়া’র সিইও তোসিরো কুদামা বলেন, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা একত্রে বাংলাদেশে জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়নকে আরো গতিশীল করবো। আমাদের বিনিয়োগ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জিরা-এশিয়া সম্মিলিতভাবে কাজ করবে।
সামিট বাংলাদেশের বৃহত্তম অবকাঠামো উন্নয়নকারি শিল্পগোষ্ঠী এবং বৃহত্তম স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উপাদনকারি প্রতিষ্ঠান। এপ্রিল ২০১৯ সালে, সামিট এবং মিতসুবিশির যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান- সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানী লিমিটেডের ভাসমান সংরক্ষণাগার এবং পুনঃ গ্যাসে রূপান্তরকরণ ইউনিট (এফএসআরইউ) সফলভাবে কমিশনিংয়ের কাজ শেষ করেছে। এছাড়া সামিট, মিতসুবিশি এবং জিই বাংলাদেশে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা) বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে – যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই)।
জিরা একটি বৈশ্বিক জ্বালানী কোম্পানী, যার প্রধান শক্তি হলো জ্বালানী সাপ্লাই চেইনের পুরোটা জুড়ে কাজ করবার ক্ষমতা, যার ব্যাপ্তি এলএনজি ও অন্যান্য জ্বালানী প্রকল্পে অংশগ্রহন, জ্বালানীর পরিবহন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জিরা, জাপানের প্রধান দুটি বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানী টেপকো ফুয়েল এন্ড পাওয়ার ইনকরপোরেটেড এবং চুবু ইলেকট্রিকের সমবিনিয়োগের যৌথ মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। জিরার লক্ষ্য হলো জ্বালানী খাতের সম্পদ উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক দরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করা।