সার্কে বিদ্যুতের মুক্ত বাজার হবে-পরিকল্পনা চূড়ান্ত
সার্ক জ্বালানি রেগুলেটরদের বৈঠকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আন্তঃদেশীয় বিদ্যুতের গ্রিড করা করা হবে। জ্বালানি বাণিজ্য শুরু হবে। একে অন্যের জ্ঞান অভিজ্ঞতা বিনিময়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। বাণিজ্যের সুবিধার জন্য অভিন্ন নীতি বা আইন করা হবে।
সরকার পর্যায়ে কিংবা বেসরকারি উদ্যোক্তারা এক দেশ থেকে অন্য দেশে বিদ্যুৎ বিনিময় করতে পারবে। ভারতের মত বিদ্যুতের মুক্ত বাজার তৈরী করা হবে। সার্কভুক্ত যে কোন দেশ সেই বাজার থেকে দরদাম করে যখন ইচ্ছে বিদ্যুৎ কেনাবেচা করতে পারবে।
সোমবার ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে শেষ হওয়া জ্বালানি রেগুলেটরদের প্রথম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সোমবার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এসময় সার্ক সচিবালয়ের পরিচালক গাফরি মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খান উপস্থিত ছিলেন।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই কমিটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রত্যেক দেশ মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বেচাকেনায় একমত হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশে আন্ত:দেশীয় গ্রিড স্থাপন করা হবে। এছাড়া সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস বিনিময় নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হবে। বিদ্যুৎকে পণ্য হিসেবে প্রত্যেক দেশ বিবেচনা করবে। এক্ষেত্রে সরকার কেবল বিদ্যুতের একমাত্র বিক্রেতা হবে না। এর বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও সরাসরি বিদ্যুৎ বিক্রি করবে। এ পদ্ধতি চালু হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিক্রির সুযোগ পাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এক দেশের প্রতিষ্ঠান অন্য দেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে।
গাফরি এম ইব্রাহিম বলেন, বৈঠকটি খুবই ফলপ্রসু হয়েছে। দুইদিনের বৈঠকে কিছু সিদ্ধা্ন্ত নেয়া হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। এ আর খান বলেন, সার্ক দেশের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে সব দেশই উপকৃত হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্য বিদ্যুৎ বিনিময় জরুরি। এজন্য আন্ত:দেশীয় গ্রিড লাইনের দরকার। এ ক্ষেত্রে বাঁধাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করা হবে। বৈঠকে এ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ ঘাটতি আছে। মাথাপিছু গড় বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ৫০০ কিলোওয়াট আওয়ার, সেখানে আমেরিকায় গড় ব্যবহারের পরিমাণ ১৩ হাজার কিলোয়াট।
বৈঠকে সার্কের আটটি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সূত্র জানায়, প্রথমে পাকিস্তান ও নেপাল এই খসড়া চূড়ান্ত করতে সম্মত না হলেও পরে হয়েছে।