সিভিএফ এর দূত হলেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

সায়মা ওয়াজেদ হোসেন
সায়মা ওয়াজেদ হোসেন

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) দূত মনোনীত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল।

সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা ৪৮টি দেশের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের প্রেসিডেন্ট পদ পায় বাংলাদেশ। আগামী দুই বছর বাংলাদেশ এই দায়িত্ব পালন করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখিন তাদের হয়ে কথা বলায় নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ।
সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল ছাড়াও ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে (সিভিএফ) মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ কামাল, ফিলিপাইনের ডেপুটি স্পিকার লরেন লেগ্রেডা ও কঙ্গোর জলবায়ু বিশেষজ্ঞ তোসি মাপ্নু বিষয়ভিত্তিক দূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
দূত হওয়ায় সায়মা হোসেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি।
এক অভিনন্দন বার্তায় জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এর দূত হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর পক্ষে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, গোষ্ঠীকে একত্রিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। সিভিএফ এর এজেন্ডা এবং মূল অগ্রাধিকারগুলি অনুসরণ করতে এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় অবদান রাখবেন। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ এবং অভিযোজন কার্যক্রম জোরদার করতে সফল হবেন। সিভিএফ এর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের দুই বছরের নির্বাচিত সময়ে দূত হিসেবে তিনি সদস্য দেশসমূহের মধ্যে মতৈক্য সৃষ্টিতে সাফল্যের সাথে কাজ করবেন বলে মন্ত্রী আশা করেন।

উল্লেখ্য, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য এবং বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অটিজম বিষয়ক ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ কাজ করছেন।