সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ব্যবস্থা নিতে নিষ্কিয় থাকায় আদালতের রুল
গ্যাস সংযোগের পাইপ ছিদ্র হয়ে ও সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয় থাকায় রুল জারি করেছে আদালত।
আজ সোমবার হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের আবেদনের শুনানি শেষে রুল জারি করে।
গ্যাস সংযোগের পাইপ ছিদ্র হয়ে ও সিলিন্ডার বিস্ফোরণে প্রাণহানি যেন না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অমিত দাস গুপ্ত এই রিট করেন।
এতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সড়কের আশপাশে এবং বাসাবাড়িতে গ্যাস পাইপলাইন ছিদ্র ও চুলার সংযোগ থেকে বের হওয়া গ্যাসে প্রায়ই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার থেকেও ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাতে হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষকে। আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসতে হচ্ছে অনেককে। আবার কারো কারো পুরো পরিবার চলে যাচ্ছে না ফেরার দেশে। দুই-একজন আবার দগ্ধ হয়ে দুর্বিষহ জীবন নিয়ে বেঁচে থাকে। যাত্রাবাড়ীতে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে লিকেজ হওয়া গ্যাসে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় এক শিশুসহ দুজনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় দগ্ধ হয়েছে আরো পাঁচজন। তাদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের। এর আগে ২রা নভেম্বর গ্যাসের আগুনে আশুলিয়ায় একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়।
তবে গ্যাসের আগুনের কারণে এমন দুর্ঘটনার দায় নিচ্ছে না কেউ। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরাই বয়ে বেড়াচ্ছে যন্ত্রণাকাতর জীবনের দায়ভার।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৬ই নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে গ্যাস দুর্ঘটনায় ১০৩টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে গ্যাসলাইন লিকেজে ৫৫টি এবং এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে ৪৮টি।