১৩ মে প্রতিবাদ দিবস পালন করবে তেল গ্যাস কমিটি
আগামি ১৩ মে দেশব্যাপী প্রতিবাদ দিবস পালন করবে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
শনিবার জাতীয় কমিটির এক জরুরি সভা থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এক সঙ্গে বাংলাদেশে বেআইনীভাবে অবস্থানরত এশিয়া এনার্জির (জিসিএম) দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে ফুলবাড়ীতে আগামী ৯ মে রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি সফল করবার আহবান জানানো হয়। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন টিপু বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বজলুর রশিদ ফিরোজ, আজিজুর রহমান, মাসুদ খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, শহীদুল ইসলাম সবুজসহ অন্যরা।
সভায় বলা হয়, সম্প্রতি এক গবেষণা বলা হয়, সুন্দরবন বিনাশী রামপাল প্রকল্পের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের ৩৫ থেকে ৪০ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হবে, কয়েক কোটি মানুষের জীবন ও সম্পদ প্রত্যক্ষ হুমকির মধ্যে পড়বে। আরও গবেষণায় দেখা যায় যে, এই ক্ষতি শুধু উপকূলীয় এলাকায় বা বাংলাদেশে সীমিত থাকবে না, ঢাকা নরসিংদী থেকে কোলকাতা পর্যন্ত ভয়াবহ বায়ুদূষনে অসুস্থতা বাড়বে, শিশুসহ অকালে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাবে। বিশাল এলাকা জুড়ে পারদের দূষণে মৎস ও ফসল উৎপাদনে বিপর্যয় হবে। সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, আগামী জুলাই মাসে সুন্দরবনবিনাশী প্রকল্প নিয়ে ইউনেস্কোর পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রকল্প নিয়ে সরকারের একগুঁয়ে জনস্বার্থবিরোধী তৎপরতার কারণে ইউনেস্কোর মাধ্যমে বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকা থেকে সুন্দরবনের নাম বাতিলের জোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের জন্য চরম অপমানজনক অবস্থা তৈরি করবে, এক কলঙ্কজনক অধ্যায় তৈরি হবে। এই অবস্থা হবার আগেই সভায় রামপাল প্রকল্পসহ সুন্দরবনবিনাশী সব অপতৎপরতা বন্ধের দাবি জানানো হয়।