সুন্দরবনে ক্ষতির বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দিলে সরকার বিবেচনা করবে
ন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক তাপ-বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিবেশ ঝুঁকি বিবেচনা করে প্রতিবাদ করছেন প্রতিবাদকারীরা। তাদের যুক্তি এই বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে সুন্দরবনসহ আশেপাশের এলাকা ব্যাপক পরিবেশ ঝুঁকিতে পড়বে। সুন্দরবনে ক্ষতির বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দিলে সরকার বিবেচনা করবে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, পরিবেশের ক্ষতি যেসব কথা বলা হচ্ছে সেটা বলছেন শুধু প্রতিবাদকারীরা। এ নিয়ে কোনো বিশেষজ্ঞ কোনো রকম বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেননি। কেউ যদি বৈজ্ঞানিক প্রমাণ উপস্থাপন করেন আমরা সেটা বিবেচনা করবো।
পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মকবুল-ই-ইলাহী বলেন, পৃথিবীর কোনো স্থাপনাই পরিবেশের ক্ষতি না করে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু প্রশ্নটা হলো ক্ষতিটা কম না বেশি। ঢাকা শহরের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার যে দালানগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলোও তো পরিবেশের ক্ষতি করে তৈরি হয়েছে। তাই কোনো স্থাপনা তৈরির সময় ক্ষতির দিকটা খেয়াল রাখতে হবে যাতে কম হয় এবং ক্ষতিটা পুষিয়ে নেয়া যায়।
এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ও পরিবেশের হিসেব-নিকেশের কথা উল্লেখ করে মকবুল-ই-ইলাহী বলেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির আগে যেসব জরিপ আমলে নেয়া হয়েছে সেগুলো ঠিকঠাক মতো পালন করলে যেটুকু ক্ষতি হবে সেটা ধাতব্যের মধ্যে পড়বে না এবং ক্ষতির চেয়ে লাভই বেশি হবে।