সুন্দরবন অভিমুখে ‘জনযাত্রা’ শুরু করেছে জাতীয় কমিটি

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সুন্দরবন অভিমুখে জনযাত্রা শুরু করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। আগামী ১৩ মার্চ বাগেরহাট গিয়ে এই জনযাত্রা শেষ হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এই জনযাত্রা শুরু করা হয়। প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে কলাবাগানে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে গাড়িতে করে সুন্দরবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করা হয়।
সমাবেশে কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার রামপাল প্রকল্প থেকে সরে না এসে সেখানে আরেকটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। সরকার বল প্রয়োগ, মিথ্যা প্রতিশ্র“তির মাধ্যমে জেনেশুনে জনগণের মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। যুক্তি, তথ্য, বিশ্লেষণ এবং ব্যাপক জনমতকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ও ভারতের একদল মুনাফালোভীর কাছে আÍসমর্পণ করে তারা এই কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী হাতে একদিকে চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ পুরস্কার, অন্যদিকে সুন্দরবন ধ্বংসের পরোয়ানা। তিনি বলেন, সুন্দরবন ধ্বংস হলে ১০ লাখ মানুষ জীবন-জীবিকা হারাবে। চার কোটি মানুষ হারাবে দুর্যোগ থেকে রক্ষার কবচ। এই প্রকল্প মানববিধ্বংসী ও বিশ্বাসঘাতকতার একটা প্রকল্প। এটা বাস্তবায়ন হতে পারে না।
জনযাত্রায় অংশ নেয়া রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে আছে-বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদি), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ (ইউসিবিএল), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, জাতীয় গণফ্রণ্ট, গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাসদ (মাহবুব), গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম, শ্রমজীবী সংঘ। এই কর্মসুচির প্রতি সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আহমেদ কামাল, ডা. আবু সাঈদ, বিডি রহমতুল্লাহ, অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান, ব্যারিষ্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া, গবেষক মহা মির্জা।
আজ ১০ মার্চ সাভার, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুরে সমাবেশ করবে জাতীয় কমিটি। এরপর ১১ মার্চ মাগুরা, ঝিনাইদাহ, যশোর, ১২ মার্চ নওয়াপাড়া, দৌলতপুর, খুলনা এবং সর্বশেষ ১৩ মার্চ রূপসা হয়ে বাগেরহাটের কাটাখালীতে গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে পথসভাও করা হবে।

এদিকে রামপাল বিদ‌্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক। বৃহস্পতিবার সকাল এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াভেনদ্রা মাথুর, আইএএস ঢাকায় আসেন। সংক্ষিপ্ত সফরের সময় তিনি বাংলাদেশ-ভারত ফেন্ডশিপ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জল কান্তি ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। দুপুরেরই তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।