সুন্দরবন ধ্বংসের পাঁয়তারা রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান
সুন্দরবনের ব্যাপারে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার পক্ষ নিশ্চুপ কেন প্রশ্ন তুলে হাওরঅঞ্চলবাসীরা বলেছেন, সরকারের মন্ত্রীরা এতে তেমন কোনো ক্ষতির কারণ খুঁজে পাচ্ছে না। বরং আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করে নৌপথ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জনসম্পদ ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হাওরাঞ্চলবাসী আয়োজিত এক মানবন্ধনে বক্তারা এ এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “জনগণের সম্পদ রক্ষার নামে জনপ্রতিনিধি সেজে যারা জনসম্পদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে জনগণকেই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
সংগঠনের সভাপতি হালিম দাদ খান বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষন ও উন্নয়ন করবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রানীর সংরক্ষন ও নিরাপত্তা বিধান করবে। অথচ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়েরর পরামর্শ উপেক্ষা করে নৌ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে স্থায়ী নৌ-রুট চালু করেছে।”
তিনি জানান, তেল পরিবহনে সক্ষম নয় এমন নৌযান দ্বারা ফার্নেস ওয়েল পরিবহনের ফলে দুর্ঘটনায় সাড়ে তিন লাখ টন ফার্নেস ওয়েল সুন্দরবনের শ্যালা নদী দিয়ে প্রায় একশ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা শুধু সংবিধান বিরোধী কার্যক্রমে মদদ দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি তারা সংবিধান লংঘনের পক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।
সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়া ফার্নেস তেল অবিলম্বে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণসহ চার দফা দাবি জানানো হয়। অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎপ্রকল্পসহ সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারী সব উন্নয়ন প্রকল্প স্থানান্তর করতে হবে, সুন্দরবনের মধ্যকার সব বাণিজ্যিক নৌরুট স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে, সুন্দরবন ধ্বংসের জন্য যারা রাষ্ট্রক্ষমতাকে অবৈধভাবে ব্যবহার করছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- হাসনাত কাইয়ুম, সুব্রত রায়, হাবীব রাজা, ডা. বোরহান অরন্য প্রমুখ।